ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনূস সরকার নিরপেক্ষ থাকতে পারছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৩:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 32

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন।

আজ (২৩ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আসাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনাসভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং শহীদ আসাদের ভাই ডা. আজিজুল্লাহ এম. নুরুজ্জামান নূর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন থেকে আমরা প্রায় ১৫ বছর বঞ্চিত। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নিয়োগের সুযোগ পাবে। কিন্তু জোর করে বিষয়টিকে বিতর্কিত করা হলে জনগণ আবার তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’

রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বিএনপির মহাসচিব বলেন, অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, এই ধরনের নির্বাচন দ্রুত না করলে সেখানে অন্যান্য শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ফলে জনগণ তাদের চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয়।

নির্বাচন শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় পাঠানোর জন্য নয়, বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার একটি পথ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কি আমরা চার থেকে পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষা করবো? যত দিন সম্পূর্ণ সংস্কার না হবে, তত দিন জনগণ তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকবে? প্রশ্ন রাখেন মির্জা ফখরুল।

শেয়ার করুন

ইউনূস সরকার নিরপেক্ষ থাকতে পারছে না

সময় ০৩:৫৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছে না। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন।

আজ (২৩ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আসাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনাসভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং শহীদ আসাদের ভাই ডা. আজিজুল্লাহ এম. নুরুজ্জামান নূর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন থেকে আমরা প্রায় ১৫ বছর বঞ্চিত। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নিয়োগের সুযোগ পাবে। কিন্তু জোর করে বিষয়টিকে বিতর্কিত করা হলে জনগণ আবার তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’

রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বিএনপির মহাসচিব বলেন, অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, এই ধরনের নির্বাচন দ্রুত না করলে সেখানে অন্যান্য শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ফলে জনগণ তাদের চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয়।

নির্বাচন শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় পাঠানোর জন্য নয়, বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার একটি পথ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

সংস্কার করে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কি আমরা চার থেকে পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষা করবো? যত দিন সম্পূর্ণ সংস্কার না হবে, তত দিন জনগণ তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকবে? প্রশ্ন রাখেন মির্জা ফখরুল।