ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনূস সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ০৬:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 43

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বিক্রম মিশ্রি

শান্তিতের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ভারত আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মিশ্রি এ কথা বলেন।

এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে পররাষ্ট্র দপ্তর কনসালটেশন বৈঠক করেন তিনি।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক কল্যাণমূলক সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছি।

আমরা দুই দেশের জনগণের জন্য এবং জনগণের কথা বিবেচনা করেই অতীতে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব, যার মূলে থাকবে জনগণের কল্যাণ।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং যেগুলোর কার্যক্রম চলমান সেগুলোতেই এর প্রতিফলন আছে।’

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানা গেছে।

বাংলাদেশ ও ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে পারস্পরিক উদ্বেগ নিরসন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে পারস্পরিক উদ্বেগ নিরসন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এফওসিতে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন এবং সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি যথাক্রমে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

ফরেন অফিস কনসালটেশনসহ বেশ কয়েকটি বৈঠক করতে সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

শাহজালাল বিমানবন্দরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া উইং) ইশরাত জাহান

ঢাকায় বিক্রম মিশ্রি
ঢাকায় বিক্রম মিশ্রি

পররাষ্ট্র সচিব মিশ্রি আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে দুই প্রতিবেশী দেশ যে ধরনের অচলাবস্থা প্রত্যক্ষ করেছে, বাংলাদেশ ও ভারত তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

‘আমরা আশা করছি এই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারব। এ ধরনের অচলাবস্থা নিরসনে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন ও সাক্ষাৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

ঢাকা-দিল্লি যৌথ বিবৃতি
ঢাকা-দিল্লি যৌথ বিবৃতি

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে তিনি বলেন, এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে পরিবর্তন এসেছে এবং উভয় পক্ষকেই এই পরিবর্তিত বাস্তবতা মেনে নিয়ে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে গত কয়েক মাসে দু’দেশের মধ্যে যে মন্দা দেখা দিয়েছে তা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়কেই প্রভাবিত করেছে।

গত ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই ভারত সরকারের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।

পররাষ্ট্র সচিবদের নেতৃত্বাধীন এফওসি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি কাঠামোগত সম্পর্ক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব উপাদানকে আলোচ্যসূচিতে রাখার চেষ্টা সব সময় রয়েছে।

শেয়ার করুন

ইউনূস সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী ভারত

সময় ০৬:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

শান্তিতের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ভারত আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মিশ্রি এ কথা বলেন।

এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে পররাষ্ট্র দপ্তর কনসালটেশন বৈঠক করেন তিনি।

বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক, গঠনমূলক এবং পারস্পরিক কল্যাণমূলক সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছি।

আমরা দুই দেশের জনগণের জন্য এবং জনগণের কথা বিবেচনা করেই অতীতে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব, যার মূলে থাকবে জনগণের কল্যাণ।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং যেগুলোর কার্যক্রম চলমান সেগুলোতেই এর প্রতিফলন আছে।’

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানা গেছে।

বাংলাদেশ ও ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে পারস্পরিক উদ্বেগ নিরসন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে পারস্পরিক উদ্বেগ নিরসন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সোমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এফওসিতে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন এবং সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি যথাক্রমে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

ফরেন অফিস কনসালটেশনসহ বেশ কয়েকটি বৈঠক করতে সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

শাহজালাল বিমানবন্দরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া উইং) ইশরাত জাহান

ঢাকায় বিক্রম মিশ্রি
ঢাকায় বিক্রম মিশ্রি

পররাষ্ট্র সচিব মিশ্রি আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে দুই প্রতিবেশী দেশ যে ধরনের অচলাবস্থা প্রত্যক্ষ করেছে, বাংলাদেশ ও ভারত তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

‘আমরা আশা করছি এই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারব। এ ধরনের অচলাবস্থা নিরসনে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন ও সাক্ষাৎ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

ঢাকা-দিল্লি যৌথ বিবৃতি
ঢাকা-দিল্লি যৌথ বিবৃতি

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে তিনি বলেন, এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে পরিবর্তন এসেছে এবং উভয় পক্ষকেই এই পরিবর্তিত বাস্তবতা মেনে নিয়ে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে গত কয়েক মাসে দু’দেশের মধ্যে যে মন্দা দেখা দিয়েছে তা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়কেই প্রভাবিত করেছে।

গত ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই ভারত সরকারের কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।

পররাষ্ট্র সচিবদের নেতৃত্বাধীন এফওসি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি কাঠামোগত সম্পর্ক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব উপাদানকে আলোচ্যসূচিতে রাখার চেষ্টা সব সময় রয়েছে।