স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত
ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে কাফনের কাপড়ে প্রতিবাদ
- সময় ০৩:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
- / 47
মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে সাহসীরাই প্রতিবাদ করে। এমনটাই ঘটেছে এবার। নিজেদের অধিকার আদায় এবং অন্তর্বতীকালীন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে কাফনের কাপড় জড়িয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। তাও আবার সেন্টমার্টিন ইস্যুতে।
কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা সহ কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। যেখানে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন সংগঠনসহ পর্যটনের প্রায় ১২ টি সংগঠন অংশ নেয়।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে কলাতলী ডলফিন মোড়ে জড়ো হতে থাকে শত শত সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ও কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তারা মিছিল সহকারে কলাতলী ডলফিন মোড়ে এসে সড়ক অবরোধ করে।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, সেন্টমার্টিন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপদেষ্টা নিয়েছে সেটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের মতো পর্যটক যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। এছাড়া টেকনাফ থেকে চালু করা হোক জাহাজ। আমাদের সেন্টমার্টিনের মানুষ নাহয় মারা যাবে।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন (টুয়াক) সভাপতি রেজাউল করিম বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, পরিবেশের প্রতি আমাদের কোন বিরোধ নেই। আমরা চাই পরিবেশ ঠিক রেখে পর্যটনকে বাঁচিয়ে রাখা হোক। সিজন বাদ দিয়ে সারাবছর উন্নতমানের নৌযান ব্যবস্থা করে পর্যটকের চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে পর্যটকের চাপ কমবে।
এদিকের আন্দোলনের কারণে চারপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে পর্যটকরা। মেরিন ড্রাইভ সড়কসহ পর্যটন নগরীর পুরো সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে আনুষ্ঠানিক কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই কিন্তু দ্বীপের বাসিন্দা ছাড়া সেখানে কেউ বেড়াতে যেতে পারছেন না। নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন তবে থাকতে পারবেন না এমন ঘোষণা থাকলেও দ্বীপ ভ্রমণের সব ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। দ্বীপটির বাসিন্দারা জানাচ্ছেন তাদের আত্মীয় স্বজনরাও বেড়াতে যেতে পারছেন না।
পর্যটন ব্যবসায়ী এবং দ্বীপের স্থানীয়রা বলছেন, সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এমন কড়াকড়ি কখনোই ছিল না যেটি গুজব সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করেছে। পর্যটন শুরু করা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তাও কাজ করছে সবার মধ্যে।
সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বাধা থাকার কথা নয় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে বেড়াতে যাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দাদেরকেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে নিজ এলাকায় প্রবেশ করতে হচ্ছে। এমনকি নভেম্বরের চার তারিখে সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেন্টমার্টিন যেতে বিবিসির একজন প্রতিবেদককে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে কোস্টগার্ডকে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে হয়েছে।
সরেজমিন কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন ঘুরে এবং কোস্টগার্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আলাপ করে মনে হয়েছে নভেম্বর মাসেও সেন্টমার্টিন ভ্রমণে একধরনের অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা চলছে। নভেম্বর মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটন আদৌ চালু করা সম্ভব হবে কি না সেটিও নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে।