০১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনিক পরিবহানের বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
  • সময় ০৩:০৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 87

বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ

গাবতলী থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে নাটোরের পুলিশ।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, গতকাল দুপুরে বড়াইগ্রাম থানার মোড় এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন—বাসচালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) এবং সহকারী মাহবুব আলম (২৮)।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১০টায় গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় নতুন কিছু যাত্রী ওঠার পর টাঙ্গাইল এলাকায় পৌঁছালে ৮-১০ জনের একটি দল অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে এবং দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে মির্জাপুর এলাকায় বাস থামিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

বাসযাত্রী মজনু আকন্দ বলেন, “গাবতলী থেকে বাস ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। তারা আমাদের সব মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নেয় এবং দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে।”

অন্য এক যাত্রী ওমর আলী জানান, “বাসের চালক ও তার সহকারীরা ডাকাতদের সহায়তা করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”

পুলিশ জানায়, ঘটনাটি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় ঘটায় বড়াইগ্রাম থানায় মামলা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

ইউনিক পরিবহানের বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ

সময় ০৩:০৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাবতলী থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে নাটোরের পুলিশ।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, গতকাল দুপুরে বড়াইগ্রাম থানার মোড় এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন—বাসচালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) এবং সহকারী মাহবুব আলম (২৮)।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১০টায় গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় নতুন কিছু যাত্রী ওঠার পর টাঙ্গাইল এলাকায় পৌঁছালে ৮-১০ জনের একটি দল অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে এবং দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে মির্জাপুর এলাকায় বাস থামিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

বাসযাত্রী মজনু আকন্দ বলেন, “গাবতলী থেকে বাস ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। তারা আমাদের সব মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নেয় এবং দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে।”

অন্য এক যাত্রী ওমর আলী জানান, “বাসের চালক ও তার সহকারীরা ডাকাতদের সহায়তা করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”

পুলিশ জানায়, ঘটনাটি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় ঘটায় বড়াইগ্রাম থানায় মামলা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।