ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতার অনুসারীরা পেটালো বিএনপির কর্মীকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোংলা
  • সময় ০৮:৩৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫
  • / 47

বিএনপি কর্মীকে পেটালো আ.লীগ নেতার অনুসারীরা

মোংলায় আ.লীগ নেতা চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর গাজীর আনুসারীদের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ী ও বিএনপি কর্মী মোঃ ইব্রাহীম বয়াতি (৫০)।

প্রভাবশালী ওই চেয়ারম্যানের কাছে পাওনা টাকা আদায়ে আইনশৃংলা বাহিনীর দপ্তর অভিযোগ দাখিল করায় তার উপর এ হামলা চালানো হয়। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বৈদ্যমারী বাজার এ হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্র-জনতার আন্দোলেনে আ’লীগ সরকারের পতন হলেও মোংলা চিলা ইউপি চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা রাজনৈতিক খোলস বদলে এখনও অধিপত্য বিস্তার করছে। এরা প্রতিনিয়ত চিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায়, জমি ও ঘের দখল, হামলা, মারধর ও মাছ লুট সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বহু অভিযোগ এসকল লোকদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয় বুধবার দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাবে স্ত্রীসহ উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবে সাবেক যুবদল কমী ও বর্তমান ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মোঃ ইব্রাহীম বয়াতি অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জয়মনি থেকে মোংলার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে বৈদ্যমারী বাজার অতিক্রম করার সময় মনি শেখ , ওসমান খান, মোতাহের খান, তালেব খাঁন, মিরাজুল শেখ ,মাহাবুল ফকির. ইমরান ফকির সহ আরো ১০/১৫ জন তার গতিরোধ করে। পরে একটি কাকড়ার দোকানের মধ্যে নিয়ে সকলে মিলে বেদড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ইব্রাহিম। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি কর্মী
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি কর্মী

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, তার উপর হামলাকারীরা বর্তমান চিলা ইউনিয়নের আওয়ামী সমর্থিত চেয়ারম্যান আকবর গাজীর নানা অপরাধ জগতের সহযোগী। গত ৩ ডিসেম্বর জয়মনির ঘোল বাজার বিএনপি অফিসের সামনে পাওনা টাকা নিয়ে চেয়ারম্যান আকবর গাজীর বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে চেয়ারম্যানের চাচা শ্বশুর জাকির হোসেন ঝংকার ফকির ও তাদের সাথে থাকা লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় ১০/১৫ টি মটর সাইকেলে লোক নিয়ে প্রথম দফায় তাকে মারপিট করে। এ ঘটনায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার ফের হামলা মারধরসহ মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় হামলাকারীরা। এ চক্রের সদস্যরা  ৫আগষ্ট পরবর্তী বিভিন্ন লোকের মৎস ঘের জোর পূর্বক দখল ও লুটপাট চালাচ্ছে বলে আভিযোগ এসকল লোকদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয় মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, প্রথম দফায় মোঃ ইব্রাহীম বয়াতি উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল তখন পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। দ্বিতীয় দফায় হামলার ঘটনা শুনেছেন তবে অভিযোগ না পাওয়ায় মামলা নেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

আ.লীগ নেতার অনুসারীরা পেটালো বিএনপির কর্মীকে

সময় ০৮:৩৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫

মোংলায় আ.লীগ নেতা চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর গাজীর আনুসারীদের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ী ও বিএনপি কর্মী মোঃ ইব্রাহীম বয়াতি (৫০)।

প্রভাবশালী ওই চেয়ারম্যানের কাছে পাওনা টাকা আদায়ে আইনশৃংলা বাহিনীর দপ্তর অভিযোগ দাখিল করায় তার উপর এ হামলা চালানো হয়। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বৈদ্যমারী বাজার এ হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্র-জনতার আন্দোলেনে আ’লীগ সরকারের পতন হলেও মোংলা চিলা ইউপি চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা রাজনৈতিক খোলস বদলে এখনও অধিপত্য বিস্তার করছে। এরা প্রতিনিয়ত চিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায়, জমি ও ঘের দখল, হামলা, মারধর ও মাছ লুট সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বহু অভিযোগ এসকল লোকদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয় বুধবার দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাবে স্ত্রীসহ উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবে সাবেক যুবদল কমী ও বর্তমান ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মোঃ ইব্রাহীম বয়াতি অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জয়মনি থেকে মোংলার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে বৈদ্যমারী বাজার অতিক্রম করার সময় মনি শেখ , ওসমান খান, মোতাহের খান, তালেব খাঁন, মিরাজুল শেখ ,মাহাবুল ফকির. ইমরান ফকির সহ আরো ১০/১৫ জন তার গতিরোধ করে। পরে একটি কাকড়ার দোকানের মধ্যে নিয়ে সকলে মিলে বেদড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ইব্রাহিম। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি কর্মী
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি কর্মী

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, তার উপর হামলাকারীরা বর্তমান চিলা ইউনিয়নের আওয়ামী সমর্থিত চেয়ারম্যান আকবর গাজীর নানা অপরাধ জগতের সহযোগী। গত ৩ ডিসেম্বর জয়মনির ঘোল বাজার বিএনপি অফিসের সামনে পাওনা টাকা নিয়ে চেয়ারম্যান আকবর গাজীর বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে চেয়ারম্যানের চাচা শ্বশুর জাকির হোসেন ঝংকার ফকির ও তাদের সাথে থাকা লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় ১০/১৫ টি মটর সাইকেলে লোক নিয়ে প্রথম দফায় তাকে মারপিট করে। এ ঘটনায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার ফের হামলা মারধরসহ মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় হামলাকারীরা। এ চক্রের সদস্যরা  ৫আগষ্ট পরবর্তী বিভিন্ন লোকের মৎস ঘের জোর পূর্বক দখল ও লুটপাট চালাচ্ছে বলে আভিযোগ এসকল লোকদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয় মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, প্রথম দফায় মোঃ ইব্রাহীম বয়াতি উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল তখন পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। দ্বিতীয় দফায় হামলার ঘটনা শুনেছেন তবে অভিযোগ না পাওয়ায় মামলা নেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।