আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ছাড় নয়

- সময় ১০:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
- / 46
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপোষ করবে না বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিংগেল, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে এই গণমিছিল শেষ হয়।
আ.লীগ নিষিদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা
নুরুল হক নুর বলেন, “ভোট ও নির্বাচন নিয়ে নানা আলোচনা থাকলেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে তেমন আওয়াজ শোনা যায় না। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আমরা ডিসিদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছি। ১২ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরা গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করব, ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ করব।”
তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস পরও কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে? ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো প্রশাসনে রয়ে গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জামিনের জন্য গণঅভ্যুত্থানের শরিকদের অনেকেই সুপারিশ করছে। এটা স্পষ্ট যে, গত ৬ মাসে সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।”
জাতীয় ঐকমত্যের আহ্বান
নুর বলেন, “জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ না হলে এ গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে। দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি না থাকায় জনগণ ভোগান্তিতে পড়েছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে, যা জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি ভালো পদক্ষেপ হবে।”
গণঅধিকার পরিষদের সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু ৬ মাসেও তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। জাতিসংঘের রিপোর্টে এসেছে, শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ একসঙ্গে গণহত্যা চালিয়েছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা না হলে যমুনা ঘেরাও করা হবে। শহীদ পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকার ‘অপারেশন ডেবিল হান্ট’ শুরু করলেও শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের পালিয়ে গেছেন। বড় বড় দুর্নীতিবাজরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”
৩০০ আসনে এককভাবে নির্বাচনের ঘোষণা
গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “আমরা কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করব না। স্বৈরাচারী হাসিনার বিরুদ্ধে আমরা সবসময় সোচ্চার ছিলাম। ভবিষ্যতে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ৩০০ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে।”
বিক্ষোভ ও গণমিছিলে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা। এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।