আসিফ নজরুলের সামনেই ফাঁসি চাই স্লোগান
- সময় ০৯:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 32
সুইজারল্যান্ডে প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়ার ঘটনার পর এবার পুনরায় রাজধানীর ইস্কাটনে তোপের মুখে পরেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন প্রবাসীরা। ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই স্লোগানও দিয়েছেন তারা।
জুলাই-আগস্টের সরকারবিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে আরব আমিরাতের রাস্তায় বিক্ষোভ করে গ্রেপ্তার ও জেল খাটার পর বাংলাদেশে ফেরত আসা প্রবাসীরা সুযোগ পেয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।
আজ শনিবার ২৮শে ডিসেম্বর এই জেলখাটা প্রবাসীদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তরের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় ইস্কাটনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় ৭১ হলে।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রবাসীরা হট্টগোল করে আরব আমিরাতের কনসাল জেনারেলের গ্রেপ্তার দাবি করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান। হট্টগোল চলাকালেই তোপের মুখে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে দুবাই ফেরত এক প্রবাসী মঞ্চের সামনে এসে আসিফ নজরুলের উদ্দেশে বলেন, আমাদেরকে জঙ্গি বলে ধরে নিয়েছে আরব আমিরাতের পুলিশ। এজন্য দায়ী কনসাল জেনারেল। তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। সে আমিরাত সরকারকে চিঠি দিয়ে আমাদের গ্রেপ্তার করতে বলেছে। তাকে গ্রেপ্তার করলে সব তথ্য পাওয়া যাবে।
উত্তেজিত প্রবাসীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, আপনারা শান্ত হোন। আমার কথা শোনেন, তারপর যত ইচ্ছা চিল্লাচিল্লি করেন। আমি বুঝতে পেরেছি, আপনাদের ক্ষোভের কারণ আছে। আগামীকাল আপনাদের ৭ জনের একটা প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে দেখা করেন। মন্ত্রণালয়ে মিটিং করে কার কী অভিযোগ আমি শুনবো।
কিন্তু প্রবাসীরা ৭ জনের প্রতিনিধিদল কাকে কাকে নিয়ে গঠন করা হবে, এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে আসিফ নজরুলের বক্তব্যের তোয়াক্কা না করে হট্টগোল করতে থাকেন।
সেসময় আসিফ নজরুল বক্তৃতা থামিয়ে মঞ্চে বসে পড়েন। তখন প্রবাসীরা আরও উত্তেজিত হয়ে তার কাছে এসে দাবি জানাতে শুরু করলে একপর্যায়ে তিনি অধৈর্য্য হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এসময় প্রবাসীরা স্লোগান দিতে থাকেন- ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’।
প্রবাসীদের দাবি, কনসাল জেনারেল বি এম জামালকে দেশে ফিরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব তথ্য পাওয়া যাবে। প্রবাসীরা জানান, আরব আমিরাতে যখন তারা বিক্ষোভ করেছিলেন, তখন তাদের ফাঁসানো হয়েছি। এজন্য তারা যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পেয়েছিলেন।
এসময় এক প্রবাসী উত্তেজিত হয়ে বলেন, ভিনদেশে আমাদের জঙ্গি মনে করা হয়। আন্দোলন করে ৩৫ বছরের সব সঞ্চয় করেছিলাম, সব হারিয়েছি। আমার মতো অনেকেই কোটি কোটি টাকা খুইয়েছেন। সব কিছু হারিয়ে ভিখারির মত ফিরে এসেছি দেশে।
একপর্যায়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন বলেন, আমরা শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। আপনারা একটু দয়া করে শান্ত হোন।
এসময় প্রবাসীরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের দাবি জানান।