হিজবুল্লাহর পাল্টা হুমকি
আরো ভয়ংকর ইসরায়েলি বিমান হামলা
- সময় ০৩:২৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
- / 124
পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বরতম জাতি হিসাবে ইসরায়েল কে গণ্য করা হয়। তাদের ভয়ংকর হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ।
এবার লেবাননের ঐতিহাসিক বালবেক অঞ্চলে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আটজন নারী। এ ঘটনার পর লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, তিনি আশা করছেন ‘কয়েক ঘণ্টা বা দিনের মধ্যেই’ হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই হামলা সেপ্টেম্বরের পর বালবেক অঞ্চলে সবচেয়ে প্রাণঘাতী আঘাত বলে জানা গেছে। হামলার কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েলি বাহিনী বালবেকের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্যতামূলক সতর্কতা জারি করে।
লেবাননের হিজবুল্লাহ-সংযুক্ত সংবাদমাধ্যম আল-মানার জানিয়েছে, লেবানন থেকে চালানো একটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তরের উপকূলীয় শহর নাহারিয়ায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এর ফলে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। হিজবুল্লাহ তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই হামলার ভিডিও পোস্ট করলেও সরাসরি দায় স্বীকার করেনি।
এর আগে, হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের যোদ্ধারা বুধবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের লিমান ও গেশের হাজিভ এবং কিরিয়াত শমোনা শহরের কিছু অবস্থান লক্ষ্য করে চারবার রকেট হামলা চালিয়েছে।
এই হামলার পর হিজবুল্লাহর নতুন নেতা নাঈম কাসেম টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, ইসরায়েল যদি আগ্রাসন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা তা মেনে নেবো, তবে আমাদের শর্ত অনুযায়ী। আমরা যুদ্ধবিরতির জন্য কোনো প্রকার ভিক্ষা চাইবো না।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলছে হামলা ও পাল্টা হামলা। ইরান আবারও ইসরায়েলকে ‘চরম জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে হুশিয়ারি দিয়েছে, আরেকবার ইসরায়েলে হামলা করলে দেশটি তাদের পছন্দমতো প্রতিশোধ নেবে এবং সে ক্ষেত্রে তাদেরকে ‘ঠেকানো’ বা কোনোরকম সীমাবদ্ধতা আরোপের মতো অবস্থায় থাকবে না ওয়াশিংটন।
গত রোববার এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। তথ্যসূত্র হিসেবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেছে তারা।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুরোধে ইরানের পরমাণু অবকাঠামোয় হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পরবর্তী লক্ষ্য হিসাবে নির্ধারণ করেন ইরানের তেল উৎপাদন অবকাঠামো। তবে এতেও সায় দেয়নি ওয়াশিংটন।
যার ফলে শুধু ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন অবকাঠামো ও আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ইসরায়েলকে।