০২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরসা প্রধান কে এই আতাউল্লাহ?

আল আসকারী
  • সময় ১০:৩৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 33

আরসা প্রধান কে এই আতাউল্লাহ?

আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি, সাধারণত আতাউল্লাহ নামে পরিচিত। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) বা আরসার প্রধান নেতা। তিনি রোহিঙ্গা সশস্ত্র বিদ্রোহের মূল পরিকল্পনাকারী এবং সংগঠক হিসেবে পরিচিত।




র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান- র‌্যাব দাবি করেছেন, গতকাল ভোরে বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সহযোগিসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড চাইলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদির পাঁচদিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন তাদের।

আতাউল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন পাকিস্তানের করাচিতে, তবে তার পরিবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী। ১৯৬০-এর দশকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে তার পরিবার পাকিস্তানে আশ্রয় নেয় এবং পরে সৌদি আরবের মক্কায় বসবাস শুরু করে। সেখানে তিনি ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ইমাম হিসেবে কাজ করেন।




২০১২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরু হলে আতাউল্লাহ সৌদি আরব ত্যাগ করেন এবং রোহিঙ্গা প্রতিরোধ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) জানায়, আতাউল্লাহ পাকিস্তানে তালেবানের অধীনে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং লিবিয়াতেও অতিরিক্ত সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।

আতাউল্লাহর নেতৃত্বে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের পুলিশ পোস্টে হামলা চালানো হয়, যেখানে কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় বড় ধরনের হামলায় ৭১ জন নিহত হয়, যার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালায়। এতে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

আতাউল্লাহর গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা সশস্ত্র বিদ্রোহ এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।



আরসার প্রধানসহ ১০ জন গ্রেপ্তার
আরসার প্রধানসহ ১০ জন গ্রেপ্তার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা (স্কোয়াড্রন লিডার) রিজওয়ান রুশদী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ।

তাঁদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি চাকু, ধারালো স্টিলের মোটা চেইন ও চারটি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে র‍্যাবের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি খোরশেদ আলম মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, গোপন বৈঠক করার সময় র‍্যাব অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ছয়জন এবং ময়মনসিংহ থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি বলেন, সংঘবদ্ধভাবে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে গুপ্তচরের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে ষড়যন্ত্র করার জন্য অশুভ পাঁয়তারার চেষ্টাকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, তাঁরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তাদের পাসপোর্ট বা কোনো ভিসা নেই। অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে অপকর্ম করতে পারে, তাঁরা কোন উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করল, তাঁদের অশুভ পরিকল্পনা জানতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত ছয় আসামিকে পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।




মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ মার্চ দিবাগত রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকায় ও ময়মনসিংহ সদর থানার নতুন বাজার মোড় এলাকার গার্ডেন সিটিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির কতিপয় সদস্য নাশকতামূলক কর্মকা- ও অপরাধ সংঘটনের লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে নারী-শিশুসহ ওই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আগেও নাশকতামূলক কর্মকা- ও গুরুতর অপরাধ সংঘটনের লক্ষ্যে গোপন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় তাঁরা ওই বৈঠক করছিলেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরসা একটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী দল, যা উত্তর রাখাইন রাজ্যে সক্রিয়। আরসা থেকে অনলাইনে প্রকাশিত হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে জুনুনি সামনে এসেছেন এবং সেখানে তিনি প্রেস বিবৃতি ও বক্তব্য দিয়েছেন।

মিয়ানমারে বিদ্রোহীরা
মিয়ানমারে বিদ্রোহীরা

মায়ানমার সরকারের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, আতাউল্লাহ পাকিস্তানে তালিবানের অধীনে ছয় মাস ধরে আধুনিক গেরিলা রণকৌশলের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আইসিজি প্রতিবেদনটি বলছে (যদিও নিশ্চিত করা যায়নি), তিনি পাকিস্তানে বা অন্য কোথাও গিয়েছিলেন, এরকম কিছু আলামত রয়েছে, সেই সাথে তিনি আধুনিক গেরিলা রণকৌশলের প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেছেন।




এই বিদ্রোহী দলের কয়েকজন সদস্য আইসিজি-কে এও বলেছে যে, রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে তিনি লিবিয়াতে অতিরিক্ত প্রশিক্ষণও গ্রহণ করে থাকতে পারেন, কিন্তু তার সম্পর্কে অন্য বিষয়গুলো অনিশ্চিত।

২০১৬ সালের ৯ অক্টোবরে আতাউল্লাহ শত শত বিদ্রোহীকে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে নিয়ে আসেন, যেখানে তারা বর্মী সীমান্তের পুলিশ পোস্টে হামলা করে। এক সপ্তাহ পরে, আতাউল্লাহকে অনলাইনে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে তিনি এই হামলার দায় স্বীকার করেন।



শেয়ার করুন

আরসা প্রধান কে এই আতাউল্লাহ?

সময় ১০:৩৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি, সাধারণত আতাউল্লাহ নামে পরিচিত। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) বা আরসার প্রধান নেতা। তিনি রোহিঙ্গা সশস্ত্র বিদ্রোহের মূল পরিকল্পনাকারী এবং সংগঠক হিসেবে পরিচিত।




র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান- র‌্যাব দাবি করেছেন, গতকাল ভোরে বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সহযোগিসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড চাইলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদির পাঁচদিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন তাদের।

আতাউল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন পাকিস্তানের করাচিতে, তবে তার পরিবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী। ১৯৬০-এর দশকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে তার পরিবার পাকিস্তানে আশ্রয় নেয় এবং পরে সৌদি আরবের মক্কায় বসবাস শুরু করে। সেখানে তিনি ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ইমাম হিসেবে কাজ করেন।




২০১২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরু হলে আতাউল্লাহ সৌদি আরব ত্যাগ করেন এবং রোহিঙ্গা প্রতিরোধ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) জানায়, আতাউল্লাহ পাকিস্তানে তালেবানের অধীনে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং লিবিয়াতেও অতিরিক্ত সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।

আতাউল্লাহর নেতৃত্বে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের পুলিশ পোস্টে হামলা চালানো হয়, যেখানে কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় বড় ধরনের হামলায় ৭১ জন নিহত হয়, যার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালায়। এতে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

আতাউল্লাহর গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা সশস্ত্র বিদ্রোহ এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।



আরসার প্রধানসহ ১০ জন গ্রেপ্তার
আরসার প্রধানসহ ১০ জন গ্রেপ্তার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা (স্কোয়াড্রন লিডার) রিজওয়ান রুশদী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ।

তাঁদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি চাকু, ধারালো স্টিলের মোটা চেইন ও চারটি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে র‍্যাবের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি খোরশেদ আলম মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, গোপন বৈঠক করার সময় র‍্যাব অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ছয়জন এবং ময়মনসিংহ থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

তিনি বলেন, সংঘবদ্ধভাবে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে গুপ্তচরের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে ষড়যন্ত্র করার জন্য অশুভ পাঁয়তারার চেষ্টাকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, তাঁরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তাদের পাসপোর্ট বা কোনো ভিসা নেই। অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে অপকর্ম করতে পারে, তাঁরা কোন উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করল, তাঁদের অশুভ পরিকল্পনা জানতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত ছয় আসামিকে পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।




মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ মার্চ দিবাগত রাত ১০টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকায় ও ময়মনসিংহ সদর থানার নতুন বাজার মোড় এলাকার গার্ডেন সিটিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির কতিপয় সদস্য নাশকতামূলক কর্মকা- ও অপরাধ সংঘটনের লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে নারী-শিশুসহ ওই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আগেও নাশকতামূলক কর্মকা- ও গুরুতর অপরাধ সংঘটনের লক্ষ্যে গোপন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় তাঁরা ওই বৈঠক করছিলেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরসা একটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী দল, যা উত্তর রাখাইন রাজ্যে সক্রিয়। আরসা থেকে অনলাইনে প্রকাশিত হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে জুনুনি সামনে এসেছেন এবং সেখানে তিনি প্রেস বিবৃতি ও বক্তব্য দিয়েছেন।

মিয়ানমারে বিদ্রোহীরা
মিয়ানমারে বিদ্রোহীরা

মায়ানমার সরকারের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, আতাউল্লাহ পাকিস্তানে তালিবানের অধীনে ছয় মাস ধরে আধুনিক গেরিলা রণকৌশলের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আইসিজি প্রতিবেদনটি বলছে (যদিও নিশ্চিত করা যায়নি), তিনি পাকিস্তানে বা অন্য কোথাও গিয়েছিলেন, এরকম কিছু আলামত রয়েছে, সেই সাথে তিনি আধুনিক গেরিলা রণকৌশলের প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেছেন।




এই বিদ্রোহী দলের কয়েকজন সদস্য আইসিজি-কে এও বলেছে যে, রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে তিনি লিবিয়াতে অতিরিক্ত প্রশিক্ষণও গ্রহণ করে থাকতে পারেন, কিন্তু তার সম্পর্কে অন্য বিষয়গুলো অনিশ্চিত।

২০১৬ সালের ৯ অক্টোবরে আতাউল্লাহ শত শত বিদ্রোহীকে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে নিয়ে আসেন, যেখানে তারা বর্মী সীমান্তের পুলিশ পোস্টে হামলা করে। এক সপ্তাহ পরে, আতাউল্লাহকে অনলাইনে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে তিনি এই হামলার দায় স্বীকার করেন।