ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আয়নাঘরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ব্যক্তিরা বিকারগ্রস্ত!

রাজীব আহমেদ
  • সময় ০১:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 48

রাজীব আহমেদ

হাসিনা আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ব‌ন্দি রাখার আয়নাঘর খ্যাত গোপন কারাগারের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ব্যক্তিরা শুধু অনুশোচনাহীন নয়, বিকারগ্রস্তও।
আয়নাঘর যে আছে, তা সবাই জানত। বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী দলের অভিযোগ বিশ্বাসের দরকার নেই। গুগল করুন। আওয়ামী লীগ নেতা প্রতিপক্ষকে গুমের হুমকি দিচ্ছে, এমন শত শত খবর পাবেন। আওয়ামী লীগেরই এক নেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ তুলতেন।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এমন শত শত খবর পাবেন। ‌কিন্তু পুলিশ, র‌্যাব একযোগে দাবি করত, গ্রেপ্তার করিনি। নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনের শুরু হতো দৌড়াদৌড়ি। সংবাদপত্র প্রথমে উর্দ্ধ কমা দিয়ে গুম, পরে চাপের মুখে এসব ঘটনাকে নিখোঁজ লিখতে শুরু করে।
রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গোপন বন্দিশালায় গুম রাখার তথ‌্য জানেন না, এমন সাংবাদিক ঢাকায় নেই। আর কেউ যদি বলে, জানতেন না, তাহলে হয় সে মিথ্যাবাদী নয়ত বিকারগ্রস্ত।
শুধু সাংবাদিক নয়, বাংলা‌দে‌শের গহীন চর বন পাহাড়ে বাস করা মানুষও জানেন, শেখ হাসিনার আমলে পুলিশ, র‌্যাব, এনএসআই, ডিজিএফআইসহ নানা বাহিনী ভিন্ন মতাবলম্বীদের গুম করত। কাউকে কাউকে কিছু দিন পর পাওয়া যেতো। হয় কোথাও ফেলে যেতো কিংবা কোনো ভুয়া মামলায় জেলে পাঠাত। আর অনেককে কখনোই পাওয়া যায়নি।
আমি এবং সমকালের Kamrul ভাই বিএনপি জামায়াত বিট করায় গুমের শিকার বহু রাজনৈতিক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। হাসিনার শাসনামলে খুবই সাবধানে এসব সংবাদ লিখ‌তে হতো। সিম্পল হেডিং ‘ওমুককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পরিবারের, পুলিশের অস্বীকার’।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের কাছে বর্ণনা শুনতে শুনতে ডিজিএফআই, র‌্যাব-১ বন্দিশালার বিবরণ মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। চোখে না দেখলেও, জানতাম সেল কেমন, বাথরুম কেমন, করিডর কেমন। আজ ছবি ও ভিডিওতে যা দেখেছি, তাতে আয়নাঘর অপরিচিত লাগেনি।
আমাদের ছোট ভাই এক সাংবাদিক ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুম হয়। ফেসবুকে সেনাবাহিনী নিয়ে লেখার কারণে। ৭০ দিন পর খোঁজ মেলে। ৫৭ দিন তাঁর জন্য আমরা আন্দোলন করি। সেই সময়ে নানা সংস্থার সঙ্গে দেনদরবার করতে হয়। যারা এতে যুক্ত ছিলাম, সবাই জানতাম ও কোথায় আছে। তারপর তো ওর কা‌ছে কোথায় কীভা‌বে রাখা হ‌য়ে‌ছিল।
কাউকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করা বাধ্যতামূলক। তা না করে ডিবি অফিসে, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোপনে আটকে রাখা হতো। সবচেয়ে জঘন্য ছিল, সাংবাদিকরা তুলে আনা সেই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতেন। তারপর ফরমায়েশ অনুয়ায়ী রিপোর্ট লিখতেন, ‘হামলার ছক বিএনপি/জামায়াতের’; ‘তুমুক জায়গায় জঙ্গী হামলার নকশা’.. ব্লা ব্লা ব্লা। ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের তুলে নেওয়াদের ক্ষেত্রে এ সুযোগ ছিল না।
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের তুলে নেওয়ার পর যখন খুঁজে পাওয়া যেতো না, তখন যোগাযোগ করলে পুলিশ আমাকেই অনেকবার বলেছে, অমুক সংস্থা নিয়েছে। চিন্তা নেই, কয়েকদিন পর পাওয়া যাবে।
গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা। তাঁর মা পরেরদিন মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে আসেন ছেলের সন্ধানে। তখনও সাংবাদিকদের সবাই জানতেন, ডিবিতে নয়, নাহিদ আছেন আয়নাঘরে। নাহিদের মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হলেও, সে কথা বলিনি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে পরিষ্কার ভাবে এসেছে, শেখ হাসিনা ১৯ জুলাই বৈঠকে সমন্বয়ক বিক্ষোভকারীদের হত্যা গুমের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
যারা জাতিসংঘের মতো সংস্থার প্রতিবেদনকে হাসিনা আমলের বিচারপতি মানিক রায়ের মতো সাজানো মনে করছেন, আয়নাঘর নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, এরা আসলে মানসিক বিকারগ্রস্ত। তারাও আয়নাঘর, গুম, জুলাই গণহত্যা, রাতের ভোট ডাকাতি সত্যতা জানে। কিন্তু স্টকহোম সিনড্রোমে আক্রান্ত বলে হাসিনার বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু বিশ্বাস করতে চায় না।
এই রোগে আক্রান্তরা অত্যাচারীর প্রতি সমর্থন দেখায়। ধরুন, একজন নৃশংস অপহরণকারী কয়েকজনকে জিম্মি করল। বাকিদের লাথিগুতা মারলেও, জিম্মিদের একজনকে একটু কিছু খেতে দিলো, ভালো আচরণ করল। এতে স্টকহোম সিনড্রোমে আক্রান্তরা, অপহরণকারীর প্রতি দুর্বল হয়ে যায়। যারা হাসিনার কাছ একটু আধাটু সুবিধা, নিরাপত্তা, ‘হেডম’ পেয়েছে; তাদেরও একই দশা। এ কারণেই অনুশোচনা নয়, হাসিনা যাই করুক, সমর্থন করছে।
স্টকহোম সিনড্রোমের মতো তা‌দের যুক্তি, অন্যদের সঙ্গে যাই করুক, আমার জন্য তো ভালো ছিল। এটা মুখে বলতে পারে না বলে, মুক্তিযুদ্ধ চেতনা মৌলবাদ উন্নয়নের বয়ান মারায়। আয়নাঘর, জুলাই গণহত্যার সত্যতা অস্বীকার করে এসবকে হাসিনা তথা মু‌ক্তিযুদ্ধ বি‌রোধী বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখায়। ঘৃণা নয়, এদের সুচিকিৎসা করুন।
সংযুক্তি : গুম সবচেয়ে জঘন্য রাষ্ট্রীয় অপরাধ। ড. ইউনূস আয়নারঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে তা স্বীকার করেছে রাষ্ট্র। যা অভাবনীয় বড় কাজ। আগস্টে কেনো পরিদর্শন হয়নি, এ প্রশ্ন তোলা সহজ। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি রক্ষায় বাহিনীগুলোর তীব্র আপত্তির পরও আয়নাঘর প্রকা‌শ্যে আন‌তে পারা, বিরাট ব্যাপার। যারা বলছে, ছয় মাস লাগিয়ে আয়নাঘর বানিয়ে পরিদর্শন করা হয়েছে, এরা স্টকহোম সিনড্রোমে আক্রান্ত। ইগ‌নোর দেম।

(লেখাটি  দৈনিক সমকালের সাংবাদিক  রাজীব আহমেদের ফেসবুক থেকে নেয়া)

শেয়ার করুন

আয়নাঘরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ব্যক্তিরা বিকারগ্রস্ত!

সময় ০১:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হাসিনা আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ব‌ন্দি রাখার আয়নাঘর খ্যাত গোপন কারাগারের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ব্যক্তিরা শুধু অনুশোচনাহীন নয়, বিকারগ্রস্তও।
আয়নাঘর যে আছে, তা সবাই জানত। বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী দলের অভিযোগ বিশ্বাসের দরকার নেই। গুগল করুন। আওয়ামী লীগ নেতা প্রতিপক্ষকে গুমের হুমকি দিচ্ছে, এমন শত শত খবর পাবেন। আওয়ামী লীগেরই এক নেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ তুলতেন।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এমন শত শত খবর পাবেন। ‌কিন্তু পুলিশ, র‌্যাব একযোগে দাবি করত, গ্রেপ্তার করিনি। নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনের শুরু হতো দৌড়াদৌড়ি। সংবাদপত্র প্রথমে উর্দ্ধ কমা দিয়ে গুম, পরে চাপের মুখে এসব ঘটনাকে নিখোঁজ লিখতে শুরু করে।
রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে গোপন বন্দিশালায় গুম রাখার তথ‌্য জানেন না, এমন সাংবাদিক ঢাকায় নেই। আর কেউ যদি বলে, জানতেন না, তাহলে হয় সে মিথ্যাবাদী নয়ত বিকারগ্রস্ত।
শুধু সাংবাদিক নয়, বাংলা‌দে‌শের গহীন চর বন পাহাড়ে বাস করা মানুষও জানেন, শেখ হাসিনার আমলে পুলিশ, র‌্যাব, এনএসআই, ডিজিএফআইসহ নানা বাহিনী ভিন্ন মতাবলম্বীদের গুম করত। কাউকে কাউকে কিছু দিন পর পাওয়া যেতো। হয় কোথাও ফেলে যেতো কিংবা কোনো ভুয়া মামলায় জেলে পাঠাত। আর অনেককে কখনোই পাওয়া যায়নি।
আমি এবং সমকালের Kamrul ভাই বিএনপি জামায়াত বিট করায় গুমের শিকার বহু রাজনৈতিক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। হাসিনার শাসনামলে খুবই সাবধানে এসব সংবাদ লিখ‌তে হতো। সিম্পল হেডিং ‘ওমুককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পরিবারের, পুলিশের অস্বীকার’।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের কাছে বর্ণনা শুনতে শুনতে ডিজিএফআই, র‌্যাব-১ বন্দিশালার বিবরণ মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। চোখে না দেখলেও, জানতাম সেল কেমন, বাথরুম কেমন, করিডর কেমন। আজ ছবি ও ভিডিওতে যা দেখেছি, তাতে আয়নাঘর অপরিচিত লাগেনি।
আমাদের ছোট ভাই এক সাংবাদিক ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুম হয়। ফেসবুকে সেনাবাহিনী নিয়ে লেখার কারণে। ৭০ দিন পর খোঁজ মেলে। ৫৭ দিন তাঁর জন্য আমরা আন্দোলন করি। সেই সময়ে নানা সংস্থার সঙ্গে দেনদরবার করতে হয়। যারা এতে যুক্ত ছিলাম, সবাই জানতাম ও কোথায় আছে। তারপর তো ওর কা‌ছে কোথায় কীভা‌বে রাখা হ‌য়ে‌ছিল।
কাউকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করা বাধ্যতামূলক। তা না করে ডিবি অফিসে, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোপনে আটকে রাখা হতো। সবচেয়ে জঘন্য ছিল, সাংবাদিকরা তুলে আনা সেই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতেন। তারপর ফরমায়েশ অনুয়ায়ী রিপোর্ট লিখতেন, ‘হামলার ছক বিএনপি/জামায়াতের’; ‘তুমুক জায়গায় জঙ্গী হামলার নকশা’.. ব্লা ব্লা ব্লা। ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের তুলে নেওয়াদের ক্ষেত্রে এ সুযোগ ছিল না।
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের তুলে নেওয়ার পর যখন খুঁজে পাওয়া যেতো না, তখন যোগাযোগ করলে পুলিশ আমাকেই অনেকবার বলেছে, অমুক সংস্থা নিয়েছে। চিন্তা নেই, কয়েকদিন পর পাওয়া যাবে।
গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে ধরে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা। তাঁর মা পরেরদিন মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে আসেন ছেলের সন্ধানে। তখনও সাংবাদিকদের সবাই জানতেন, ডিবিতে নয়, নাহিদ আছেন আয়নাঘরে। নাহিদের মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হলেও, সে কথা বলিনি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে পরিষ্কার ভাবে এসেছে, শেখ হাসিনা ১৯ জুলাই বৈঠকে সমন্বয়ক বিক্ষোভকারীদের হত্যা গুমের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
যারা জাতিসংঘের মতো সংস্থার প্রতিবেদনকে হাসিনা আমলের বিচারপতি মানিক রায়ের মতো সাজানো মনে করছেন, আয়নাঘর নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, এরা আসলে মানসিক বিকারগ্রস্ত। তারাও আয়নাঘর, গুম, জুলাই গণহত্যা, রাতের ভোট ডাকাতি সত্যতা জানে। কিন্তু স্টকহোম সিনড্রোমে আক্রান্ত বলে হাসিনার বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু বিশ্বাস করতে চায় না।
এই রোগে আক্রান্তরা অত্যাচারীর প্রতি সমর্থন দেখায়। ধরুন, একজন নৃশংস অপহরণকারী কয়েকজনকে জিম্মি করল। বাকিদের লাথিগুতা মারলেও, জিম্মিদের একজনকে একটু কিছু খেতে দিলো, ভালো আচরণ করল। এতে স্টকহোম সিনড্রোমে আক্রান্তরা, অপহরণকারীর প্রতি দুর্বল হয়ে যায়। যারা হাসিনার কাছ একটু আধাটু সুবিধা, নিরাপত্তা, ‘হেডম’ পেয়েছে; তাদেরও একই দশা। এ কারণেই অনুশোচনা নয়, হাসিনা যাই করুক, সমর্থন করছে।
স্টকহোম সিনড্রোমের মতো তা‌দের যুক্তি, অন্যদের সঙ্গে যাই করুক, আমার জন্য তো ভালো ছিল। এটা মুখে বলতে পারে না বলে, মুক্তিযুদ্ধ চেতনা মৌলবাদ উন্নয়নের বয়ান মারায়। আয়নাঘর, জুলাই গণহত্যার সত্যতা অস্বীকার করে এসবকে হাসিনা তথা মু‌ক্তিযুদ্ধ বি‌রোধী বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখায়। ঘৃণা নয়, এদের সুচিকিৎসা করুন।
সংযুক্তি : গুম সবচেয়ে জঘন্য রাষ্ট্রীয় অপরাধ। ড. ইউনূস আয়নারঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে তা স্বীকার করেছে রাষ্ট্র। যা অভাবনীয় বড় কাজ। আগস্টে কেনো পরিদর্শন হয়নি, এ প্রশ্ন তোলা সহজ। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি রক্ষায় বাহিনীগুলোর তীব্র আপত্তির পরও আয়নাঘর প্রকা‌শ্যে আন‌তে পারা, বিরাট ব্যাপার। যারা বলছে, ছয় মাস লাগিয়ে আয়নাঘর বানিয়ে পরিদর্শন করা হয়েছে, এরা স্টকহোম সিনড্রোমে আক্রান্ত। ইগ‌নোর দেম।

(লেখাটি  দৈনিক সমকালের সাংবাদিক  রাজীব আহমেদের ফেসবুক থেকে নেয়া)