আবারও কোটা নিয়ে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে
- সময় ০২:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 36
চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। এরপর অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব পালন করছে। এবার অন্তর্বতী সরকারের বিরুদ্ধেই কোটা আন্দোলন জোরদার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরকারি চাকরিতে উপ সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের বিদ্যমান ৭৫ শতাংশ কোটা থাকলেও সেটি কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সাংগঠনিকভাবেই তারা এ দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা)’র পক্ষ থেকে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে পদত্যাগের দাবি জানান বিসিএস ৯ম ব্যাচের কর্মকর্তা জাকির হোসেন কালাম।
তিনি বলেন, শুধু সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করলেই হবে না, সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে এ সংস্কার কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। তা না হলে আন্দোলন জোরদার করা হবে।
এর আগে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সোহেল রানা বলেন, উপসচিব পদে ৫০ শতাংশ হারে পদায়ন বৈষম্যমূলক, অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রমূলক। রাষ্ট্রকে দুর্বল করার কোনো প্রচেষ্টা চলছে কি না, এটাও আমাদের দেখতে হবে।
এমনকি গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা।
বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।
মূলত ২৫ শতাংশ কোটা কমে যাওয়ার কারণে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা এখন আন্দোলন জোরদার করার চিন্তা করছেন। একই সঙ্গে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া যারা আছেন, তারা কোনো আন্দোলনে না গেলেও সুযোগের অপেক্ষায় আছেন সরকার কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি দেখার জন্য।