আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও চার প্রসিকিউটর নিয়োগ
- সময় ০৫:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫
- / 23
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আরও চারজনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তাদের মধ্যে একজনকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার, দুইজনকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার এবং একজনকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (০১ জানুয়ারি) চারজনকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রসিকিউটররা হলেন- মো. আব্দুস সোবহান তরফদার (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার), মো. সহিদুল ইসলাম সরদার ও ফারুক আহাম্মদ (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার) এবং মো. হাসানুল বান্না (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার)।
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য। সেই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিচার হয়েছে। এবার সেই ট্রাইব্যুনালেই বিচার হচ্ছে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের। যার জন্য অভিযুক্ত শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
তাদের বিচারের লক্ষ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর চিফ প্রসিকিউটরসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চারজন প্রসিকিউটর নিয়োগ করা হয়। চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, যিনি একই ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের আইনজীবী ছিলেন। পরে আরও কয়েকজনকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এছাড়া ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সেখানে তিনি টেনেছেন গুম খুন প্রসঙ্গ। বলেছেন, ২০২৫ সাল হবে আওয়ামী লীগ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বছর। বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে সংগঠিত গুম, খুন এবং জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার এই বছরেই সম্পন্ন হবে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, মূল ভবনে প্রধান বিচারপতির সম্মতির পর বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোর বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তও চলছে।
তিনি আরও জানান, হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে ট্রাইব্যুনাল তার বিচারের কাজ চালিয়ে যাবে।