ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ গভীরভাবে ক্ষুব্ধ

আগরতলায় হামলা ‘পূর্বপরিকল্পিত’: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সময় ১২:৩৯:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 44

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির সমর্থকদের হামলার ঘটনা বাংলাদেশ সরকারকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। সেখানে নানা ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে আজ সোমবার ভোরে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দলের হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে ক্ষুব্ধ।

আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছেঁড়া
আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছেঁড়া

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাপ্ত ঘটনাপ্রবাহ চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে, বিক্ষোভকারীদের পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে আগ্রাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে সম্পত্তির ক্ষতি করে। পরিতাপের বিষয়, প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিলেন না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সহকারী হাইকমিশনের সব সদস্য প্রচণ্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলতে চায়, বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক মিশনের ওপর এই জঘন্য হামলা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অপবিত্রতা একটি নৈমিত্তিক উদাহরণ হয়ে উঠেছে। গত ২৮ নভেম্বর কলকাতায়ও একই ধরনের হিংসাত্মক বিক্ষোভ হয়েছে। আগরতলায় এই বিশেষ কাজটি কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা স্বাগতিক দেশের সরকারের দায়িত্ব। তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এ ঘটনাটি মোকাবিলায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের যেকোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ, কূটনীতিক ও অ-কূটনৈতিক সদস্য এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

শেয়ার করুন

বাংলাদেশ গভীরভাবে ক্ষুব্ধ

আগরতলায় হামলা ‘পূর্বপরিকল্পিত’: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সময় ১২:৩৯:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির সমর্থকদের হামলার ঘটনা বাংলাদেশ সরকারকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। সেখানে নানা ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে আজ সোমবার ভোরে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দলের হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে ক্ষুব্ধ।

আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছেঁড়া
আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছেঁড়া

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাপ্ত ঘটনাপ্রবাহ চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে, বিক্ষোভকারীদের পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে আগ্রাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে সম্পত্তির ক্ষতি করে। পরিতাপের বিষয়, প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিলেন না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সহকারী হাইকমিশনের সব সদস্য প্রচণ্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলতে চায়, বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক মিশনের ওপর এই জঘন্য হামলা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অপবিত্রতা একটি নৈমিত্তিক উদাহরণ হয়ে উঠেছে। গত ২৮ নভেম্বর কলকাতায়ও একই ধরনের হিংসাত্মক বিক্ষোভ হয়েছে। আগরতলায় এই বিশেষ কাজটি কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা স্বাগতিক দেশের সরকারের দায়িত্ব। তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এ ঘটনাটি মোকাবিলায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের যেকোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ, কূটনীতিক ও অ-কূটনৈতিক সদস্য এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।