০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়ার দাবি

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • সময় ০১:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • / 65

অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার স্থপতি ইন্সটিটিউটের আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান।

রিজভী বলেন, “স্থানীয় নির্বাচন নয়, জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়া উচিত। নির্বাচন যদি দেরি হয়, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

তিনি আরও বলেন, “শেষ ১৭ বছরে যে ভয়ংকর পরিণতি আমরা দেখেছি, তা কখনো হওয়ার কথা ছিল না। ৯০-এর আন্দোলনের যে স্পিরিট ছিল, সেটি থেকে হোঁচট খেয়ে আবারো পিছিয়ে যাওয়া তা তো কেউ প্রত্যাশা করেনি। বরং এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে বিগত ১৭ বছরে যা বিস্ময়কর। একতরফা নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার, ভোট কেন্দ্রগুলোর সামনে জন্তুদের পদচারণ, এবং ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা— এই ধরনের নির্বাচন বিগত ১৬-১৭ বছরে আমরা দেখেছি।”

রিজভী আরও বলেন, “যারা বিরোধী দলের মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ও বাধা দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনার সূত্রপাত ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া, গ্রেপ্তার করা এবং হামলা করা—এই সব কিছুই হয়েছে।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছায় সরকারের অধীনে চলে যেতে আগ্রহী হয়ে ওঠে, যা নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করে। তাই সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রয়োগ করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।”

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এহসানুল হক হুদা, ইথুন বাবু, আহসান উদ্দিন খান শিপন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়ার দাবি

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে

সময় ০১:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার স্থপতি ইন্সটিটিউটের আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান।

রিজভী বলেন, “স্থানীয় নির্বাচন নয়, জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়া উচিত। নির্বাচন যদি দেরি হয়, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

তিনি আরও বলেন, “শেষ ১৭ বছরে যে ভয়ংকর পরিণতি আমরা দেখেছি, তা কখনো হওয়ার কথা ছিল না। ৯০-এর আন্দোলনের যে স্পিরিট ছিল, সেটি থেকে হোঁচট খেয়ে আবারো পিছিয়ে যাওয়া তা তো কেউ প্রত্যাশা করেনি। বরং এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে বিগত ১৭ বছরে যা বিস্ময়কর। একতরফা নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার, ভোট কেন্দ্রগুলোর সামনে জন্তুদের পদচারণ, এবং ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা— এই ধরনের নির্বাচন বিগত ১৬-১৭ বছরে আমরা দেখেছি।”

রিজভী আরও বলেন, “যারা বিরোধী দলের মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ও বাধা দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনার সূত্রপাত ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া, গ্রেপ্তার করা এবং হামলা করা—এই সব কিছুই হয়েছে।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছায় সরকারের অধীনে চলে যেতে আগ্রহী হয়ে ওঠে, যা নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করে। তাই সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রয়োগ করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।”

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এহসানুল হক হুদা, ইথুন বাবু, আহসান উদ্দিন খান শিপন প্রমুখ।