ঢাকা ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অ্যাটর্নি জেনারেল

অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়কে রূপান্তরের সুযোগ

নিউজ ডেস্ক
  • সময় ০৯:০৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 19

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণার পর রায়ের এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, এই (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রিনেমড হতে পারে। যেমন, জেলা ও দায়রা জজ একই ব্যক্তি। যখন সিভিল মামলা করেন তখন তাকে বলা হয় জেলা জজ। আবার ওই একই ব্যক্তি যখন ক্রিমিনাল মামলা পরিচালনা করেন তখন তিনি দায়রা জজ। তেমন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যক্তিরা যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিস্টেমে চলে যাবে, উনারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবেন। এতে সাংবিধানিক সাংঘর্ষিকতার কোনো জায়গা নেই।

রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটা রিটকারীপক্ষ অবৈধ ঘোষণা চেয়েছিলেন। হাইকোর্ট পুরোটা অবৈধ বলেননি। তবে পুরোটা অবৈধ বলার মতো উপাদানের কথা উনারা বলে গেছেন।

তিনি বলেন, অনুচ্ছেদ ৭ ক ও ৭ খ, এ দুটো অবৈধ। এটা এমনভাবে ধরে নিতে হবে যে এটা আইনে ছিল না। সংবিধানে এটা ছিল না, এভাবে হবে।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করাটা অবৈধ হয়েছে। এখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েছে। উনারা রেফারেন্স হিসেবে বলেছেন, গত তিনটি নির্বাচন কীভাবে হয়েছে এবং কীভাবে দেশের গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়েছে। কীভাবে আইনের শাসন ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। কীভাবে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কীভাবে সংবিধানের মূলকাঠামোতে আঘাত করা হয়েছে।

‘গণভোটে জনগণের যে ক্ষমতা, সেটাকে সংকুচিত করা হয়েছিল। সেই সংকুচিত করাকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছেন। অন্য বিষয়গুলোর বিষয়ে পার্লামেন্ট দেখবেন বলে ছেড়ে দিয়েছেন। তবে এটাও বলেননি, ওটা বৈধ বা অবৈধ।’

তিনি বলেন, এরপর ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে পেন্ডিং আছে। সেখানে আপিল বিভাগ যে ফাইন্ডিং এসেছে তা দেখবেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল বিভাগে (ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার) যে রিভিউ পেন্ডিং আছে তা বাইপাস করেই হাইকোর্টের এ রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কেন আছে? কারণ, তত্ত্বাবধায়কের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে দুটি পার্ট। এক হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বৈধ নাকি অবৈধ। এ পার্টে চারজন বলছেন অবৈধ, তিনজন বলেছেন বৈধ। আবার দ্বিতীয় পার্টে সব বিচারপতি বললেন, পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে। এই যে পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে এটা বলার আগেই পঞ্চদশ সংশোধনী চলে এসেছে। তাহলে ধরে নেওয়া হবে, ওই জাজমেন্ট কার্যকর আছে। কমপক্ষে আগামী দুটি নির্বাচন তো আপিল বিভাগের এটেনশন লাগে না।অর্থাৎ আপিল বিভাগে থাকা ত্রয়োদশ সংশোধনীর রিভিউ রায়ের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় না।

বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল আংশিক যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি সংক্রান্ত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের এ ধারা দুটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে, যেটি হচ্ছে গণতন্ত্র। এছাড়া পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ ক, ৭ খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পুরোটা বাতিল করা হচ্ছে না উল্লেখ করে রায়ে হাইকোর্ট বলেন, সংশোধনী আইনের বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আগামী জাতীয় সংসদের। সংসদ আইন অনুসারে জনগণের মতামত নিয়ে বিধানগুলো সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করতে পারবে।

এছাড়া রায়ে হাইকোর্ট বলেন, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের গণভোটের বিধান বিলুপ্তি সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ৪৭ ধারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে বাতিল করেছেন। ফলে দ্বাদশ সংশোধনীর ১৪২ অনুচ্ছেদে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল হয়েছে।

আলোচিত এ রিটের রুল শুনানিতে সুজনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল।

জামায়াতের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ইনসানিয়াত বিপ্লব দলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুর রউফ ও ইশরাত হাসান। এছাড়া রুল শুনানিতে পক্ষভুক্ত হওয়া সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।

এদিকে আজ রায় ঘোষণার সময় পক্ষভুক্ত হওয়া আইনজীবী ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ, ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী, নাফিউল আলম সুপ্ত এবং সাইয়েদ আবদুল্লাহসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

অ্যাটর্নি জেনারেল

অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়কে রূপান্তরের সুযোগ

সময় ০৯:০৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণার পর রায়ের এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, এই (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রিনেমড হতে পারে। যেমন, জেলা ও দায়রা জজ একই ব্যক্তি। যখন সিভিল মামলা করেন তখন তাকে বলা হয় জেলা জজ। আবার ওই একই ব্যক্তি যখন ক্রিমিনাল মামলা পরিচালনা করেন তখন তিনি দায়রা জজ। তেমন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যক্তিরা যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিস্টেমে চলে যাবে, উনারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবেন। এতে সাংবিধানিক সাংঘর্ষিকতার কোনো জায়গা নেই।

রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটা রিটকারীপক্ষ অবৈধ ঘোষণা চেয়েছিলেন। হাইকোর্ট পুরোটা অবৈধ বলেননি। তবে পুরোটা অবৈধ বলার মতো উপাদানের কথা উনারা বলে গেছেন।

তিনি বলেন, অনুচ্ছেদ ৭ ক ও ৭ খ, এ দুটো অবৈধ। এটা এমনভাবে ধরে নিতে হবে যে এটা আইনে ছিল না। সংবিধানে এটা ছিল না, এভাবে হবে।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করাটা অবৈধ হয়েছে। এখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েছে। উনারা রেফারেন্স হিসেবে বলেছেন, গত তিনটি নির্বাচন কীভাবে হয়েছে এবং কীভাবে দেশের গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়েছে। কীভাবে আইনের শাসন ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। কীভাবে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কীভাবে সংবিধানের মূলকাঠামোতে আঘাত করা হয়েছে।

‘গণভোটে জনগণের যে ক্ষমতা, সেটাকে সংকুচিত করা হয়েছিল। সেই সংকুচিত করাকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছেন। অন্য বিষয়গুলোর বিষয়ে পার্লামেন্ট দেখবেন বলে ছেড়ে দিয়েছেন। তবে এটাও বলেননি, ওটা বৈধ বা অবৈধ।’

তিনি বলেন, এরপর ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে পেন্ডিং আছে। সেখানে আপিল বিভাগ যে ফাইন্ডিং এসেছে তা দেখবেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল বিভাগে (ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার) যে রিভিউ পেন্ডিং আছে তা বাইপাস করেই হাইকোর্টের এ রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কেন আছে? কারণ, তত্ত্বাবধায়কের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে দুটি পার্ট। এক হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বৈধ নাকি অবৈধ। এ পার্টে চারজন বলছেন অবৈধ, তিনজন বলেছেন বৈধ। আবার দ্বিতীয় পার্টে সব বিচারপতি বললেন, পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে। এই যে পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে এটা বলার আগেই পঞ্চদশ সংশোধনী চলে এসেছে। তাহলে ধরে নেওয়া হবে, ওই জাজমেন্ট কার্যকর আছে। কমপক্ষে আগামী দুটি নির্বাচন তো আপিল বিভাগের এটেনশন লাগে না।অর্থাৎ আপিল বিভাগে থাকা ত্রয়োদশ সংশোধনীর রিভিউ রায়ের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় না।

বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল আংশিক যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি সংক্রান্ত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের এ ধারা দুটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে, যেটি হচ্ছে গণতন্ত্র। এছাড়া পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ ক, ৭ খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পুরোটা বাতিল করা হচ্ছে না উল্লেখ করে রায়ে হাইকোর্ট বলেন, সংশোধনী আইনের বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আগামী জাতীয় সংসদের। সংসদ আইন অনুসারে জনগণের মতামত নিয়ে বিধানগুলো সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করতে পারবে।

এছাড়া রায়ে হাইকোর্ট বলেন, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের গণভোটের বিধান বিলুপ্তি সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ৪৭ ধারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে বাতিল করেছেন। ফলে দ্বাদশ সংশোধনীর ১৪২ অনুচ্ছেদে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল হয়েছে।

আলোচিত এ রিটের রুল শুনানিতে সুজনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল।

জামায়াতের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ইনসানিয়াত বিপ্লব দলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুর রউফ ও ইশরাত হাসান। এছাড়া রুল শুনানিতে পক্ষভুক্ত হওয়া সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।

এদিকে আজ রায় ঘোষণার সময় পক্ষভুক্ত হওয়া আইনজীবী ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ, ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী, নাফিউল আলম সুপ্ত এবং সাইয়েদ আবদুল্লাহসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।