ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীতাকুণ্ডে পাহাড়ি এলাকা দখল নিয়ে সংঘর্ষ, ২৫ জন গুলিবিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
  • সর্বশেষ আপডেট ০৯:৫১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / 22

গুলি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গলছলিমপুর এলাকায় পাহাড় দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার ভোরে আলিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলিনগর এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে মো. ইয়াছিনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। শনিবার ভোরে উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রোকন উদ্দিন ও গোলাম গফুরের নেতৃত্বে শতাধিক অস্ত্রধারী ওই এলাকা দখল করতে গেলে ইয়াছিনের অনুসারীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষ থেকে গুলিবর্ষণ হয়। এতে অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে রোকন উদ্দিনের দলের একজন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোকনের অনুসারীদের মধ্যে প্রায় ১৫-২০ জনের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন—জাবেদ (৩৮), জাকির (৪৮), তানভীর (২৩), সিরাজুল ইসলাম (৪৩), ফজলুল করিম, ইসমাইল হোসেন বাবু (৩০), জাহিদুল ইসলাম (১৯), সৌরভ বড়ুয়া (১৭), পারভেজ (২০), নুরুল আলম (৪০), শুক্কুর আলম (২২), রায়হান (১৮) ও শামীম (২৯)। তবে তারা কোন পক্ষের সদস্য, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন বলেন, ইয়াছিনের অনুসারীরা ছিন্নমূল এলাকার ১৫ জন বাসিন্দাকে ধরে নিয়ে মারধর করে, এতে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, এই ঘটনায় তিনি জড়িত নন, তবে হামলার শিকারদের অনেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সোহেল রানা জানান, পাল্টা আক্রমণে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৮ রাউন্ড শটগানের গুলি, ২টি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, চাপাতি, লোহার হাতুড়ি ও পিস্তলের ৩টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে মামলা নথিভুক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) লাবিব আবদুল্লাহ জানান, সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন, তবে তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। গুলিবিদ্ধ ১৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে।

এদিকে ছলিমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শাহাদাত অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার থেকে তার বাড়ির ভবন ভেঙে ইট ও রড খুলে নেওয়া হচ্ছে। তিনি ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় রোকন বাহিনীকে দায়ী করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা কামনা করেছেন।

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

সীতাকুণ্ডে পাহাড়ি এলাকা দখল নিয়ে সংঘর্ষ, ২৫ জন গুলিবিদ্ধ

সর্বশেষ আপডেট ০৯:৫১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গলছলিমপুর এলাকায় পাহাড় দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার ভোরে আলিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলিনগর এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে মো. ইয়াছিনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। শনিবার ভোরে উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রোকন উদ্দিন ও গোলাম গফুরের নেতৃত্বে শতাধিক অস্ত্রধারী ওই এলাকা দখল করতে গেলে ইয়াছিনের অনুসারীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষ থেকে গুলিবর্ষণ হয়। এতে অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে রোকন উদ্দিনের দলের একজন সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোকনের অনুসারীদের মধ্যে প্রায় ১৫-২০ জনের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন—জাবেদ (৩৮), জাকির (৪৮), তানভীর (২৩), সিরাজুল ইসলাম (৪৩), ফজলুল করিম, ইসমাইল হোসেন বাবু (৩০), জাহিদুল ইসলাম (১৯), সৌরভ বড়ুয়া (১৭), পারভেজ (২০), নুরুল আলম (৪০), শুক্কুর আলম (২২), রায়হান (১৮) ও শামীম (২৯)। তবে তারা কোন পক্ষের সদস্য, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন বলেন, ইয়াছিনের অনুসারীরা ছিন্নমূল এলাকার ১৫ জন বাসিন্দাকে ধরে নিয়ে মারধর করে, এতে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি দাবি করেন, এই ঘটনায় তিনি জড়িত নন, তবে হামলার শিকারদের অনেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সোহেল রানা জানান, পাল্টা আক্রমণে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৮ রাউন্ড শটগানের গুলি, ২টি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, চাপাতি, লোহার হাতুড়ি ও পিস্তলের ৩টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে মামলা নথিভুক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) লাবিব আবদুল্লাহ জানান, সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন, তবে তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। গুলিবিদ্ধ ১৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে।

এদিকে ছলিমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শাহাদাত অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার থেকে তার বাড়ির ভবন ভেঙে ইট ও রড খুলে নেওয়া হচ্ছে। তিনি ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় রোকন বাহিনীকে দায়ী করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা কামনা করেছেন।