ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শূন্যরেখায় শেষবার বাবার মরদেহ দেখলেন মেয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর
  • সর্বশেষ আপডেট ০৭:১৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • / 90

শূন্যরেখায় শেষবার বাবার মরদেহ দেখলেন মেয়ে

সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয় নাগরিক জব্বার মণ্ডলের (৭৫) মরদেহ শেষবারের মতো দেখলেন তার মেয়ে ও বাংলাদেশে থাকা স্বজনরা। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় আজ বুধবার দুপুরে যশোরের শার্শা ধান্যখোলা বিওপির অধীন মেইন পিলার ২৫/৬-এস সংলগ্ন স্থানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। মরদেহ দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে সেখানে পৌঁছে প্রায় ৩০ মিনিট রাখা হয় মেয়ে মিতু মণ্ডলসহ স্বজনদের দেখার জন্য। পতাকা বৈঠকে বিজিবি’র যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন ও ভারতের বিএসএফ ৬৭ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জব্বার মণ্ডল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বাগদা বাশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে মারা যান। প্রায় দেড় যুগ আগে তার মেয়ে মিতু মণ্ডলের (৩৮) বিয়ে হয় বেনাপোলের পোড়াবাড়ি গ্রামের বাবলু মণ্ডলের সঙ্গে।

বিজিবি’র যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ে মিতুসহ বাংলাদেশে থাকা স্বজনরা মরদেহ দেখার জন্য আবেদন করেন। একইভাবে ভারতীয় বিএসএফও বাংলাদেশি স্বজনদের লাশ দেখানোর জন্য বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ দেখার ব্যবস্থা করে। পরে দাফনের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার নিজ বাড়িতে।

বাবার মরদেহ দেখার পর আবেগপ্রবণ মিতু মণ্ডল বলেন, “দু’দেশের বাসিন্দা হওয়ায় মন চাইলেই বাবার বাড়ি যেতাম না। তবে যোগাযোগ ছিল সার্বক্ষণিক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এভাবে বাবার মুখ শেষবার দেখার সুযোগ পাবেন ভাবতেও পারিনি।”

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

শূন্যরেখায় শেষবার বাবার মরদেহ দেখলেন মেয়ে

সর্বশেষ আপডেট ০৭:১৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয় নাগরিক জব্বার মণ্ডলের (৭৫) মরদেহ শেষবারের মতো দেখলেন তার মেয়ে ও বাংলাদেশে থাকা স্বজনরা। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় আজ বুধবার দুপুরে যশোরের শার্শা ধান্যখোলা বিওপির অধীন মেইন পিলার ২৫/৬-এস সংলগ্ন স্থানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। মরদেহ দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে সেখানে পৌঁছে প্রায় ৩০ মিনিট রাখা হয় মেয়ে মিতু মণ্ডলসহ স্বজনদের দেখার জন্য। পতাকা বৈঠকে বিজিবি’র যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়ন ও ভারতের বিএসএফ ৬৭ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জব্বার মণ্ডল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বাগদা বাশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে মারা যান। প্রায় দেড় যুগ আগে তার মেয়ে মিতু মণ্ডলের (৩৮) বিয়ে হয় বেনাপোলের পোড়াবাড়ি গ্রামের বাবলু মণ্ডলের সঙ্গে।

বিজিবি’র যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ে মিতুসহ বাংলাদেশে থাকা স্বজনরা মরদেহ দেখার জন্য আবেদন করেন। একইভাবে ভারতীয় বিএসএফও বাংলাদেশি স্বজনদের লাশ দেখানোর জন্য বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ দেখার ব্যবস্থা করে। পরে দাফনের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার নিজ বাড়িতে।

বাবার মরদেহ দেখার পর আবেগপ্রবণ মিতু মণ্ডল বলেন, “দু’দেশের বাসিন্দা হওয়ায় মন চাইলেই বাবার বাড়ি যেতাম না। তবে যোগাযোগ ছিল সার্বক্ষণিক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এভাবে বাবার মুখ শেষবার দেখার সুযোগ পাবেন ভাবতেও পারিনি।”