ঢাকা ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এক তদন্তে আট বছর পার

বেপরোয়া বিমানের পাইলট ইউসুফ মাহমুদ

শরিয়ত খান, বিশেষ প্রতিনিধি
  • সর্বশেষ আপডেট ০১:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 336

বিমানের পাইলট ইউসুফ মাহমুদ।

স্বর্ণের বারসহ আটক, নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি। আবার এই দুটি ঘটনা ধাঁমাচাপা দিতে প্রভাব বিস্তার ও আর্থিক লেনদেন- এমন একগুচ্ছ অভিযোগ বিমান বাংলাদেশের সিনিয়র পাইলট ইউসুফ মাহমুদের (পি ৫০৫৭৮) বিরুদ্ধে।

 

এতোসব অভিযোগের পরেও বিমানের এই পাইলট রয়েছেন বহাল তবিয়তে। প্রশ্ন উঠেছে- তার অদৃশ্য ক্ষমতা নিয়েও। অভিযোগ উঠেছে, বিমানের কর্মকর্তাদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে বারবার এই পাইলটের ঘটনা ধাঁমাচাপা দিয়ে যাচ্ছেন।

 

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে। সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালানের সময় ধরা পড়েছিলেন ইউসুফ মাহমুদ। ওইদিন জেদ্দা থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইটের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

 

অভিযোগ রয়েছে, তাঁর মোজার ভেতর থেকে স্বর্ণের বার উদ্ধার করে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী। সে যাত্রায় ঢাকাস্থ বিমানের কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান তিনি। এতে ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হয় প্রায় এক ঘণ্টা এবং বিমানকে গুনতে হয় বড় অঙ্কের জরিমানা। পরবর্তীতে তাঁকে সাময়িকভাবে গ্রাউন্ডেড করা হলেও তদন্ত আর শেষ হয়নি। বৈমানিক সংকটের অজুহাতে কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় ফ্লাইটে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে।

 

ক্যাপ্টেন ইউসূফের সেই ঘটনা তদন্তের পর তিনি দোষি প্রমাণিত হলেও ক্যাপ্টেন স্বল্পতার অযুহাত দেখিয়ে তাকে বিমান পরিচালনার দায়িত্বে বহাল রাখা হয়। দেশের সরকার তিনবার পরিবর্তন হলেও সেই ঘটনা এখনো সুরাহা হয়নি।

 

শাস্তির পরিবর্তে দায়িত্বে ফেরানোর পর ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ইউসুফ মাহমুদ।

 

অভিযোগ উঠতে থাকে, তিনি নারী কেবিন ক্রুদের নিয়মিত যৌন হয়রানি করতেন। ভুক্তভোগীরা ভয়ে চুপ থাকলেও গতবছর এক নারী কেবিন ক্রু (সঙ্গতকারনে আমরা ওই নারীর নাম লিখছি না) সাহস করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে।

 

ওই নারীর অভিযোগ, মাসকাটগামী ফ্লাইট পরিচালনার সময় ককপিটে ডেকে নিয়ে ইউসুফ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে শরীর স্পর্শ করেন এবং জোর করে ফল খাওয়ান। পরে তিনি লিখিতভাবে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন।

 

কিন্তু অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরিবর্তে সেই ক্রুকে উল্টো নানা সময় ভয়ভীতি ও হয়রানির শিকার হতে হয়। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা নেন এবং বিমানের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ভিসার আবেদনও করেন। ভিসা অনুমোদিত হলেও শেষ মুহুর্তে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ শিক্ষা ছুটি মঞ্জুর না করায় বিপত্তি বাধে।

 

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিশোধমূলক কারণে ক্যাপ্টেন ইউসুফ মাহমুদের প্রভাবেই তাঁর বিদেশযাত্রা আটকে দেওয়া হয়। গত ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। এতে ভেঙে পড়া ওই নারী কেবিন ক্রু চাকরি ছেড়ে দেন।

 

অভিযোগে আরো জানা যায়, ওই নারী কেবিন ক্রুর অভিযোগের তদন্ত দীর্ঘায়িত করা এবং তার বিদেশ যাত্রা আটকে দিতে নথিপত্র জটিলতা তৈরিতে বড় একটি ভূমিকা রাখেন বিমানের গ্রাহক সেবা পরিদপ্তরের পরিচালক মো. রাশেদুল করিম।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিমানের গ্রাহক সেবা পরিদপ্তরের পরিচালক মো. রাশেদুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা অ্যাফেয়ার্স প্রতিবেদককে বিমানের জনসংযোগ বিভাগে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

 

বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মমিনুল ইসলামও বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ। তাই তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগের বিষয়ে তার সাথেও একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

 

একজন জেষ্ঠ্য আইনজীবী বলেন, যৌন হয়রানি ও স্বর্ণ পাচারের মতো অপরাধ প্রশাসনিক তদন্তে সীমাবদ্ধ না থেকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়ায় আনা উচিত ছিল।

 

নারী অধিকারকর্মীদের মতে, একজন নারী কেবিন ক্রু যদি ককপিটের মতো স্থানে নিরাপদ না থাকেন, তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ। ইউসুফ মাহমুদের মতো বিতর্কিত পাইলটকে বহাল রাখা শুধু প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

 

নারী অধিকারকর্মী খুশি কবির বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, ‘বিমানে প্রায়শ: এই ধরনের ঘটনার অভিযোগ শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু পরবর্তীতে ঘটনাগুলো আবার হাওয়ায় মিলিয়েও যাচ্ছে। সেখান থেকেই ধারনা করা যায়, আসলে বিমানে কি ঘটে। আমাদের নারীরা কতোটা নিরাপদ সেখানে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’

 

জানতে চাইলে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহা ব্যবস্থাপক রওশন কবীর বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানান, ক্যাপ্টেন ইউসূফের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। একাধিকবার তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়াও গেছে। বিষয়টি নিয়ে পূনরায় তদন্ত চলছে। সেজন্য তার বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

 

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নামে মাঝে মধ্যেই এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বেশিরভাগ সময়ে শাস্তি হয়না।

 

বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে এড়িয়ে যান অভিযুক্ত পাইলট ইউসুফ মাহমুদ। তিনি বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারাই এসব অভিযোগ তুলেছে।

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এক তদন্তে আট বছর পার

বেপরোয়া বিমানের পাইলট ইউসুফ মাহমুদ

সর্বশেষ আপডেট ০১:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্বর্ণের বারসহ আটক, নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি। আবার এই দুটি ঘটনা ধাঁমাচাপা দিতে প্রভাব বিস্তার ও আর্থিক লেনদেন- এমন একগুচ্ছ অভিযোগ বিমান বাংলাদেশের সিনিয়র পাইলট ইউসুফ মাহমুদের (পি ৫০৫৭৮) বিরুদ্ধে।

 

এতোসব অভিযোগের পরেও বিমানের এই পাইলট রয়েছেন বহাল তবিয়তে। প্রশ্ন উঠেছে- তার অদৃশ্য ক্ষমতা নিয়েও। অভিযোগ উঠেছে, বিমানের কর্মকর্তাদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে বারবার এই পাইলটের ঘটনা ধাঁমাচাপা দিয়ে যাচ্ছেন।

 

ঘটনার সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে। সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালানের সময় ধরা পড়েছিলেন ইউসুফ মাহমুদ। ওইদিন জেদ্দা থেকে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইটের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

 

অভিযোগ রয়েছে, তাঁর মোজার ভেতর থেকে স্বর্ণের বার উদ্ধার করে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী। সে যাত্রায় ঢাকাস্থ বিমানের কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান তিনি। এতে ফ্লাইট ছাড়তে দেরি হয় প্রায় এক ঘণ্টা এবং বিমানকে গুনতে হয় বড় অঙ্কের জরিমানা। পরবর্তীতে তাঁকে সাময়িকভাবে গ্রাউন্ডেড করা হলেও তদন্ত আর শেষ হয়নি। বৈমানিক সংকটের অজুহাতে কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় ফ্লাইটে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে।

 

ক্যাপ্টেন ইউসূফের সেই ঘটনা তদন্তের পর তিনি দোষি প্রমাণিত হলেও ক্যাপ্টেন স্বল্পতার অযুহাত দেখিয়ে তাকে বিমান পরিচালনার দায়িত্বে বহাল রাখা হয়। দেশের সরকার তিনবার পরিবর্তন হলেও সেই ঘটনা এখনো সুরাহা হয়নি।

 

শাস্তির পরিবর্তে দায়িত্বে ফেরানোর পর ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ইউসুফ মাহমুদ।

 

অভিযোগ উঠতে থাকে, তিনি নারী কেবিন ক্রুদের নিয়মিত যৌন হয়রানি করতেন। ভুক্তভোগীরা ভয়ে চুপ থাকলেও গতবছর এক নারী কেবিন ক্রু (সঙ্গতকারনে আমরা ওই নারীর নাম লিখছি না) সাহস করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে।

 

ওই নারীর অভিযোগ, মাসকাটগামী ফ্লাইট পরিচালনার সময় ককপিটে ডেকে নিয়ে ইউসুফ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে শরীর স্পর্শ করেন এবং জোর করে ফল খাওয়ান। পরে তিনি লিখিতভাবে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন।

 

কিন্তু অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরিবর্তে সেই ক্রুকে উল্টো নানা সময় ভয়ভীতি ও হয়রানির শিকার হতে হয়। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা নেন এবং বিমানের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ভিসার আবেদনও করেন। ভিসা অনুমোদিত হলেও শেষ মুহুর্তে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ শিক্ষা ছুটি মঞ্জুর না করায় বিপত্তি বাধে।

 

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিশোধমূলক কারণে ক্যাপ্টেন ইউসুফ মাহমুদের প্রভাবেই তাঁর বিদেশযাত্রা আটকে দেওয়া হয়। গত ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। এতে ভেঙে পড়া ওই নারী কেবিন ক্রু চাকরি ছেড়ে দেন।

 

অভিযোগে আরো জানা যায়, ওই নারী কেবিন ক্রুর অভিযোগের তদন্ত দীর্ঘায়িত করা এবং তার বিদেশ যাত্রা আটকে দিতে নথিপত্র জটিলতা তৈরিতে বড় একটি ভূমিকা রাখেন বিমানের গ্রাহক সেবা পরিদপ্তরের পরিচালক মো. রাশেদুল করিম।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিমানের গ্রাহক সেবা পরিদপ্তরের পরিচালক মো. রাশেদুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা অ্যাফেয়ার্স প্রতিবেদককে বিমানের জনসংযোগ বিভাগে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

 

বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মমিনুল ইসলামও বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ। তাই তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগের বিষয়ে তার সাথেও একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

 

একজন জেষ্ঠ্য আইনজীবী বলেন, যৌন হয়রানি ও স্বর্ণ পাচারের মতো অপরাধ প্রশাসনিক তদন্তে সীমাবদ্ধ না থেকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়ায় আনা উচিত ছিল।

 

নারী অধিকারকর্মীদের মতে, একজন নারী কেবিন ক্রু যদি ককপিটের মতো স্থানে নিরাপদ না থাকেন, তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ। ইউসুফ মাহমুদের মতো বিতর্কিত পাইলটকে বহাল রাখা শুধু প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

 

নারী অধিকারকর্মী খুশি কবির বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, ‘বিমানে প্রায়শ: এই ধরনের ঘটনার অভিযোগ শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু পরবর্তীতে ঘটনাগুলো আবার হাওয়ায় মিলিয়েও যাচ্ছে। সেখান থেকেই ধারনা করা যায়, আসলে বিমানে কি ঘটে। আমাদের নারীরা কতোটা নিরাপদ সেখানে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’

 

জানতে চাইলে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহা ব্যবস্থাপক রওশন কবীর বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে জানান, ক্যাপ্টেন ইউসূফের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। একাধিকবার তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়াও গেছে। বিষয়টি নিয়ে পূনরায় তদন্ত চলছে। সেজন্য তার বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

 

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নামে মাঝে মধ্যেই এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বেশিরভাগ সময়ে শাস্তি হয়না।

 

বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে এড়িয়ে যান অভিযুক্ত পাইলট ইউসুফ মাহমুদ। তিনি বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারাই এসব অভিযোগ তুলেছে।