ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্লোটিলার অপহৃত ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠালো ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট ০৯:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / 21

ফ্লোটিলার অপহৃত ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠালো ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাগামী সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ থেকে অপহরণ করা ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শনিবার (৪ অক্টোবর) ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে নৌবহর থেকে প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, তুরস্কে পাঠানো ১৩৭ জনের মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড, তিউনিশিয়া এবং তুরস্কের নাগরিক রয়েছেন।

গাজায় ইসরায়েলের অবৈধ নৌ অবরোধ ভাঙা, গাজার মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং সেখানকার মানুষের প্রতি অসহিংস সংহতি প্রকাশের জন্য ৪৫টি ছোট-বড় জাহাজে করে বিভিন্ন দেশের ৫০০ অধিকারকর্মী গাজার দিকে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু উপত্যকাটির উপকূলে পৌঁছানোর আগেই জাহাজগুলোতে হানা দিয়ে তাদের ধরে ইসরায়েলে নিয়ে যায় ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তুরস্কের বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিমান। এর ভেতরে রয়েছেন ওই ১৩৭ অধিকারকর্মী। তাদের তুরস্কে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তুরস্ক থেকে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন এসব অধিকারকর্মী।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বার্তাসংস্থা রয়টার্স-কে জানিয়েছে, এই ১৩৭ জনের মধ্যে ৩৬ জন তুর্কি নাগরিক। এর আগে গতকাল চারজনকে ফেরত পাঠিয়েছিল ইসরায়েল।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই অধিকারকর্মীরা খুব অল্প পরিমাণ ত্রাণ নিয়ে এসেছিলেন। তবে তারা ইসরায়েলের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দিতে অস্বীকৃতি জানান। ইসরায়েলের দাবি, এই অধিকারকর্মীরা ত্রাণ দেওয়ার আড়ালে উসকানি দিতে এসেছিলেন। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আটক সব অধিকারকর্মীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

সূত্র: রয়টার্স

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

ফ্লোটিলার অপহৃত ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠালো ইসরায়েল

সর্বশেষ আপডেট ০৯:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাগামী সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ থেকে অপহরণ করা ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শনিবার (৪ অক্টোবর) ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে নৌবহর থেকে প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, তুরস্কে পাঠানো ১৩৭ জনের মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড, তিউনিশিয়া এবং তুরস্কের নাগরিক রয়েছেন।

গাজায় ইসরায়েলের অবৈধ নৌ অবরোধ ভাঙা, গাজার মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং সেখানকার মানুষের প্রতি অসহিংস সংহতি প্রকাশের জন্য ৪৫টি ছোট-বড় জাহাজে করে বিভিন্ন দেশের ৫০০ অধিকারকর্মী গাজার দিকে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু উপত্যকাটির উপকূলে পৌঁছানোর আগেই জাহাজগুলোতে হানা দিয়ে তাদের ধরে ইসরায়েলে নিয়ে যায় ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তুরস্কের বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিমান। এর ভেতরে রয়েছেন ওই ১৩৭ অধিকারকর্মী। তাদের তুরস্কে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তুরস্ক থেকে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন এসব অধিকারকর্মী।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বার্তাসংস্থা রয়টার্স-কে জানিয়েছে, এই ১৩৭ জনের মধ্যে ৩৬ জন তুর্কি নাগরিক। এর আগে গতকাল চারজনকে ফেরত পাঠিয়েছিল ইসরায়েল।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই অধিকারকর্মীরা খুব অল্প পরিমাণ ত্রাণ নিয়ে এসেছিলেন। তবে তারা ইসরায়েলের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দিতে অস্বীকৃতি জানান। ইসরায়েলের দাবি, এই অধিকারকর্মীরা ত্রাণ দেওয়ার আড়ালে উসকানি দিতে এসেছিলেন। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আটক সব অধিকারকর্মীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

সূত্র: রয়টার্স