ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দীঘিনালায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রমোদ কুমার মুৎসুদ্দী, দিঘীনালা (খাগড়াছড়ি)
  • সর্বশেষ আপডেট ০৫:১৮:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / 219

দীঘিনালায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার আশ্বাসে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গৌতম বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের দাবি— তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিজিডি কার্ড, বিধবা/বৃদ্ধভাতা, সোলার প্যানেলসহ বিভিন্ন সুবিধা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও টাকা নেওয়ার পর কারও দাবি পূরণ করেননি।

ভুক্তভোগী জয়া বড়ুয়া বলেন, “বিজিডি কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে। এখনও কার্ড পাইনি।” সুমিত্রা বড়ুয়ার অভিযোগ, “স্বামী নেই। কষ্ট করে টাকা দিয়েছিলাম কার্ডের জন্য। কিন্তু কিছুই হলো না।”
লিলি বড়ুয়া জানান, “সে শুধু ঘুরায়, সুবিধা দেয় না।”
হ্যাপি বড়ুয়া ও বীথি বড়ুয়ারও অভিযোগ— “টাকা নেওয়ার পর আর যোগাযোগ রাখে না।”
আরেকজন বলেন, “এক সাংবাদিকের ছোট বোনের কাছ থেকেও ৫ হাজার টাকা নিয়েছে, এখন ফেরতও দিচ্ছে না।”

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত গৌতম বড়ুয়া বলেন, “যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে আমার সামনে নিয়ে আসেন।”

দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, “বিজিডি কার্ড বা সরকারি সুবিধা দেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের। কেউ যদি দলের নাম ভাঙিয়ে এসব কাজে জড়িত থাকে, তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।” উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিনও জানান, “দলের কেউ প্রতারণায় জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ভুক্তভোগীরা দ্রুত তদন্ত করে গৌতম বড়ুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

দীঘিনালায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

সর্বশেষ আপডেট ০৫:১৮:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার আশ্বাসে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গৌতম বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের দাবি— তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিজিডি কার্ড, বিধবা/বৃদ্ধভাতা, সোলার প্যানেলসহ বিভিন্ন সুবিধা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও টাকা নেওয়ার পর কারও দাবি পূরণ করেননি।

ভুক্তভোগী জয়া বড়ুয়া বলেন, “বিজিডি কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে। এখনও কার্ড পাইনি।” সুমিত্রা বড়ুয়ার অভিযোগ, “স্বামী নেই। কষ্ট করে টাকা দিয়েছিলাম কার্ডের জন্য। কিন্তু কিছুই হলো না।”
লিলি বড়ুয়া জানান, “সে শুধু ঘুরায়, সুবিধা দেয় না।”
হ্যাপি বড়ুয়া ও বীথি বড়ুয়ারও অভিযোগ— “টাকা নেওয়ার পর আর যোগাযোগ রাখে না।”
আরেকজন বলেন, “এক সাংবাদিকের ছোট বোনের কাছ থেকেও ৫ হাজার টাকা নিয়েছে, এখন ফেরতও দিচ্ছে না।”

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত গৌতম বড়ুয়া বলেন, “যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে আমার সামনে নিয়ে আসেন।”

দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, “বিজিডি কার্ড বা সরকারি সুবিধা দেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের। কেউ যদি দলের নাম ভাঙিয়ে এসব কাজে জড়িত থাকে, তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।” উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিনও জানান, “দলের কেউ প্রতারণায় জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ভুক্তভোগীরা দ্রুত তদন্ত করে গৌতম বড়ুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।