ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেকনাফ বন্দরে সাত মাস ধরে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, টেকনাফ (কক্সবাজার)
  • সর্বশেষ আপডেট ০৭:২৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / 32

টেকনাফ বন্দরে সাত মাস ধরে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমারের সঙ্গে সাত মাস ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৪০-৫০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। পাশাপাশি শত শত শ্রমিক ও ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়েছেন।

পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম সচল করার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন হাইওয়ে সড়কে বন্দরের ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও আন্দোলন করেন।

জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। আরাকান আর্মির সদস্যরা নাফনদীতে পণ্যবাহী জাহাজগুলো আটকানোসহ নানা বাধা সৃষ্টি করছেন। এতে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শ্রমিকদের জীবিকার স্বার্থে, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত টেকনাফ স্থলবন্দর সচল করতে হবে।

টেকনাফ বন্দরে সাত মাস ধরে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
টেকনাফ বন্দরে সাত মাস ধরে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি

টেকনাফ বন্দরের শ্রমিক নেজাম উদ্দিন বলেন, “বন্দর থেকে উপার্জিত টাকায় পরিবারের খরচ জোগাতাম। সাত মাস ধরে কাজ না থাকায় পরিবার নিয়ে কঠিন অবস্থার মধ্যে দিন পার করছি।”

ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী বলেন, “মিয়ানমারের সঙ্গে বন্দরের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় আমরা বেকার। মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের কাছে লাখ লাখ টাকা আটকে আছে। আজকের মানববন্ধনের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, বন্দরের কার্যক্রম পুনরায় সচল হোক। আমরা বাঁচতে চাই, বাঁচতে দিন।”

টেকনাফ স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহারদুর জানান, সাত মাস ধরে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। জেলা প্রশাসক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ বলেন, “বন্দর বন্ধ থাকায় সরকার প্রতি মাসে ৪০-৫০ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এখন এক টাকাও আসছে না।”

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “বন্দরের কার্যক্রম আমাদের পক্ষ থেকে বন্ধ নেই। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।”

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

টেকনাফ বন্দরে সাত মাস ধরে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি

সর্বশেষ আপডেট ০৭:২৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমারের সঙ্গে সাত মাস ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৪০-৫০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। পাশাপাশি শত শত শ্রমিক ও ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়েছেন।

পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম সচল করার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন হাইওয়ে সড়কে বন্দরের ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও স্থানীয়রা মানববন্ধন ও আন্দোলন করেন।

জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। আরাকান আর্মির সদস্যরা নাফনদীতে পণ্যবাহী জাহাজগুলো আটকানোসহ নানা বাধা সৃষ্টি করছেন। এতে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শ্রমিকদের জীবিকার স্বার্থে, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত টেকনাফ স্থলবন্দর সচল করতে হবে।

টেকনাফ বন্দরে সাত মাস ধরে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
টেকনাফ বন্দরে সাত মাস ধরে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি

টেকনাফ বন্দরের শ্রমিক নেজাম উদ্দিন বলেন, “বন্দর থেকে উপার্জিত টাকায় পরিবারের খরচ জোগাতাম। সাত মাস ধরে কাজ না থাকায় পরিবার নিয়ে কঠিন অবস্থার মধ্যে দিন পার করছি।”

ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী বলেন, “মিয়ানমারের সঙ্গে বন্দরের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় আমরা বেকার। মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের কাছে লাখ লাখ টাকা আটকে আছে। আজকের মানববন্ধনের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, বন্দরের কার্যক্রম পুনরায় সচল হোক। আমরা বাঁচতে চাই, বাঁচতে দিন।”

টেকনাফ স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহারদুর জানান, সাত মাস ধরে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। জেলা প্রশাসক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ বলেন, “বন্দর বন্ধ থাকায় সরকার প্রতি মাসে ৪০-৫০ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এখন এক টাকাও আসছে না।”

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “বন্দরের কার্যক্রম আমাদের পক্ষ থেকে বন্ধ নেই। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।”