ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে

নিউজ ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট ০৮:১৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 31

আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে

উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ তার জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ২৮ মিনিটের দিকে আদালতের হাজতখানা থেকে তাকে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এজলাসে তোলার সময় আনিস আলমগীরের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট এবং শরীরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো ছিল। বিকেল ৫টা ৩২ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতের কাঠগড়ায় তাকে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কাঠগড়ায় তোলার পর তার পক্ষের আইনজীবীরা তাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন আনিস আলমগীর। পরে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং কাঁদতে থাকেন। বারবার চোখের পানি মুছতে দেখা যায় তাকে।

এর আগে বিকেল ৫টা ৮ মিনিটের দিকে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে করে ডিবি কার্যালয় থেকে তাকে আদালতে আনা হয়। পরে তাকে হাজতখানায় রাখা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক মুনিরুজ্জামান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন বলে প্রসিকিউশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি জিম থেকে বের হওয়ার সময় আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ গত রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ফ্যাশন মডেল মারিয়া কিসপট্টা এবং উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর তার অনুসারীরা দেশে থেকে বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশনের টকশোর মাধ্যমে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন, যার ফলে রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ তৈরি হচ্ছে।

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে

সর্বশেষ আপডেট ০৮:১৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ তার জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ২৮ মিনিটের দিকে আদালতের হাজতখানা থেকে তাকে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এজলাসে তোলার সময় আনিস আলমগীরের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট এবং শরীরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো ছিল। বিকেল ৫টা ৩২ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতের কাঠগড়ায় তাকে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কাঠগড়ায় তোলার পর তার পক্ষের আইনজীবীরা তাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন আনিস আলমগীর। পরে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং কাঁদতে থাকেন। বারবার চোখের পানি মুছতে দেখা যায় তাকে।

এর আগে বিকেল ৫টা ৮ মিনিটের দিকে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে করে ডিবি কার্যালয় থেকে তাকে আদালতে আনা হয়। পরে তাকে হাজতখানায় রাখা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক মুনিরুজ্জামান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন বলে প্রসিকিউশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি জিম থেকে বের হওয়ার সময় আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ গত রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ফ্যাশন মডেল মারিয়া কিসপট্টা এবং উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর তার অনুসারীরা দেশে থেকে বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশনের টকশোর মাধ্যমে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন, যার ফলে রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ তৈরি হচ্ছে।