ড. ইউনূসের বিশেষ সহকারী- জিএমপি কমিশনার আ.লীগের দোসর
- সময় ১০:৩৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 39
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরী এবং গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল করিম খান আওয়ামী লীগের দোসর বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। আজ রোববার বিকেলে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে এক বিক্ষোভ সমাবেশ এ কথা বলেন তিনি।
বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে উত্তরপাশের কামারপাড়া সড়কে তাবলিগের শুরায়ী নেজামের আহ্বানে উলামা মাশায়েখ ও তওহিদি জনতার ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সবাবেশে খোদা বকশ চৌধুরী এবং মো. নাজমুল করিম খানের অপসারণসহ বেশ কিছু দাবি জানান উলামা মাশায়েখ ও তওহিদি জনতা।
সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইজতেমা নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী ও জিএমপির কমিশনার নাজমুল করিম খান আওয়ামী লীগের দোসর। তাদের অপসারণ করতে হবে।’
মামুনুল হক আরও বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে আমরা ইজতেমা ময়দানে আছি। যেকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দায় ওই দুইজনকে নিতে হবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মুফতি আমানুল হক, মুফতি ফজলুল করিম কাসেমী ও মাওলানা মাসউদুল করিমসহ প্রমুখ।
এর আগে মাওলানা সাদকে নিয়ে জোড় ইজতেমা করার দাবিতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে মাওলানা সাদ অনুসারীরা। ধর্মঘট চলাকালে বক্তারা বলেন, জুলাই ২৪ বিপ্লবে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে সব ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী ‘সচেতন ছাত্রসমাজ’ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের মতো একজন বিশ্ববরেণ্য ও সমাদৃত ব্যক্তির নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে এবং সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে
এসময় ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১৭ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে লাখ লাখ মুসল্লি নিয়ে অবস্থান ও ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামী বছর দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা জোড় ইজতেমা করবেন ও জুবায়েরপন্থীরা তা করতে দেবে না বলে বিরোধ চলছে। এ অবস্থায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে।