জিমে গিয়ে পুরুষত্ব নষ্ট হচ্ছে !
- সময় ১২:০৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
- / 256
নিজেকে সুঠাম, পেশিবহুল অর্থাৎ আকর্ষণীয় করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে গিয়ে সময় পার করছেন তরুণদের বড় একটি অংশ। কিন্তু এটি করতে গিয়ে অনেকেই বাবা হওয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছেন। নিজেকে সুপুরুষ হিসেবে জাহির করতে গিয়ে, অজান্তেই নিজের পুরুষত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলছেন অনেকেই।
এমনটি অবশ্য সবার ক্ষেত্রে ঘটে না, তবে বড় একটি অংশের ক্ষেত্রে এমনটি দেখা যাচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে গবেষণা করে দুই বিজ্ঞানী এমন কথা বলেছেন। তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেমস মোসাম ও প্রফেসর প্যাসি।
গবেষকরা জানিয়েছেন, পুরুষদের আকর্ষণীয়তা সাধারণত তাদের শরীরে উচ্চ টেস্টোস্টেরনের কারণে হয়। এটি এক ধরনের হরমোন যা পুরুষের শারীরিক গঠন এবং যৌন আকর্ষণীয়তা বাড়ায়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, এটি সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত কিছু অদ্ভুত প্রভাব ফেলতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরকে পেশীবহুল করতে গিয়ে পুরুষেরা যেসব স্টেরয়েড ব্যবহার করেন, তা তাদের শরীরে শুক্রাণু সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে। অ্যানাবলিক স্টেরয়েডের কারণে মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্লান্ড শুক্রাণু তৈরির দুটি মূল হরমোন এফএসএইচ ও এলএইচের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।
আবার অনেকেই মাথার চুল কমে যাওয়া ঠেকাতে অর্থাৎ টাক হয়ে যাওয়া রোধ করতে গিয়ে যেসব চিকিৎসা নেন পুরুষরা তাও তাদের শুক্রাণু উৎপাদন প্রক্রিয়া কমায়।
২০০৩ সালে, গবেষকরা দেখেছেন যে আকর্ষণীয় পুরুষদের সাধারণত বেশি টেস্টোস্টেরন থাকে। তবে, এই উচ্চ টেস্টোস্টেরন স্তর স্পার্ম উৎপাদনকে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ টেস্টোস্টেরনের ফলে পুরুষদের স্পার্মের গুণমান কমে যেতে পারে। এর ফলে সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।
১৯৯৭ সালে, গবেষকরা মুখের আকর্ষণীয়তা এবং স্পার্মের গুণমানের মধ্যে একটি সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। তাদের মতে, মুখের আকর্ষণীয়তা বেশি হলে স্পার্মের গুণমান কিছুটা কমে যেতে পারে।
২০০৫ সালে, গবেষক জেফ্রি মিলার এবং তার সহকর্মীরা দেখান যে আকর্ষণীয়তা এবং জিনগত স্বাস্থ্য পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত। তারা দাবি করেছেন যে কিছু ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় পুরুষদের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
এদিকে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পুরুষদের ওপর করা এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, দেশগুলোর পুরুষদের শরীরে শুক্রাণুর সংখ্যা বা স্পার্ম রেট কমে যাচ্ছে। শুক্রাণু কমে যাবার সেই হার বজায় থাকলে মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন এক চিকিৎসক।