ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাভারের পুলিশকর্তা নূরে আলমের অভিনব ফাঁদ!

এস.এম.আর শহীদ
  • সর্বশেষ আপডেট ০৭:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • / 1870

কাউন্দিয়া পুলিশ

ঢাকার অদূরে সাভারের কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসাবে সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছেন সাব ইন্সপেক্টর নূরে আলম। এ পদে বসেই তিনি অভিনব ফাঁদে ফেলে ভুক্তভোগীদের ওপর নির্যাতন ও অর্থ আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতিবেশীর পালিত বিড়াল ফাঁড়িতে ঢুকেছিল এই অপরাধে জোসনা বেগম নামের একজন বৃদ্ধাকে দিয়ে জোরপূর্বক পুরো ফাঁড়ি ঝাড়ু দেয়াতে বাধ্য করেন সাব ইন্সপেক্টর নুরে আলম। ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্থানীয় বয়োবৃদ্ধ মহিলা জোসনাকে বাধ্য করার এমন ঘটনায় হতবাক জোসনা বিচার চাইতেও ভয় পাচ্ছেন। নতুন কোন ঘটনায় জীবন অতীষ্ট হয়ে উঠবে এমন ভয়-আতঙ্কে দিন কাটছে তার।

মাদক কারবারীদের দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, বিচারের নামে ফাঁড়িতে ডেকে নির্যাতনসহ একাধিক অভিযোগে ফুঁসে উঠেছে সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

পুলিশ
পুলিশ

সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের সিংগাসাইর এলাকার বাসিন্দা বাতেন বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, কিছুদিন আগে বিজ্ঞ আদালতে সি আর কোর্টে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পুলিশকে ম্যানেজ করতে ভুক্তভোগী নগদ ৫ হাজার টাকা দিলে সাব ইন্সপেক্টর নূরে আলম আরো ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন। বাকি ৪৫ হাজার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে নানা রকম ভয়-ভীতি প্রদানে অসহায় ভুক্তভোগী গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

কাউন্দিয়া এলাকার ইটের ভাটা মালিকদের কাছে ফাঁড়ির খরচ বাবদ বিভিন্ন ইট ভাটার ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি, সিঙ্গাসাইর ওয়াহেদ মেম্বারের গরুর খামারের সংলগ্ন ইট ভাটার ম্যানেজার মতিনের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

যখন-যেখানে দায়িত্বপালন করেছেন টাকা ছাড়া কোন সেবাই মিলেনা নূরে আলমের দরবারে। সাভার স্মৃতিসৌধ ক্যাম্পে থাকাকালীন জনৈক ব্যবসায়ীকে ধরে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে ওই ব্যবসায়িকে পরবর্তীতে মাদক মামলায় চালান দেওয়ার মতো ঘটনায় আলোচনায় আসে এই কর্মকর্তা।

কাউন্দিয়া বাজারের গরুর গোস্তের দোকান থেকে প্রতি সপ্তাহে ২ কেজি করে মাংস নিচ্ছেন ফাঁড়ির পুলিশের নামে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তোয়াক্কা না করে কাউন্দিয়া সিংগাসাইর পশ্চিমপাড়া সিসা ফ্যাক্টরি চলছে হপ্তাহ প্রদানের মাধ্যমে।

এসব বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ইনচার্জ নূরে আলমের বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, আমি তো বিড়াল এবং ইটভাটা চিনিই না। সুনিদিষ্ট অভিযোগ থাকলে নিউজ করেন। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবি নূরে আলমের রিবুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণে হারানো আস্থা ফিরে আসুক স্বনামধন্য পুলিশ বাহিনীর।

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

সাভারের পুলিশকর্তা নূরে আলমের অভিনব ফাঁদ!

সর্বশেষ আপডেট ০৭:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকার অদূরে সাভারের কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসাবে সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছেন সাব ইন্সপেক্টর নূরে আলম। এ পদে বসেই তিনি অভিনব ফাঁদে ফেলে ভুক্তভোগীদের ওপর নির্যাতন ও অর্থ আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতিবেশীর পালিত বিড়াল ফাঁড়িতে ঢুকেছিল এই অপরাধে জোসনা বেগম নামের একজন বৃদ্ধাকে দিয়ে জোরপূর্বক পুরো ফাঁড়ি ঝাড়ু দেয়াতে বাধ্য করেন সাব ইন্সপেক্টর নুরে আলম। ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্থানীয় বয়োবৃদ্ধ মহিলা জোসনাকে বাধ্য করার এমন ঘটনায় হতবাক জোসনা বিচার চাইতেও ভয় পাচ্ছেন। নতুন কোন ঘটনায় জীবন অতীষ্ট হয়ে উঠবে এমন ভয়-আতঙ্কে দিন কাটছে তার।

মাদক কারবারীদের দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, বিচারের নামে ফাঁড়িতে ডেকে নির্যাতনসহ একাধিক অভিযোগে ফুঁসে উঠেছে সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

পুলিশ
পুলিশ

সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের সিংগাসাইর এলাকার বাসিন্দা বাতেন বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, কিছুদিন আগে বিজ্ঞ আদালতে সি আর কোর্টে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পুলিশকে ম্যানেজ করতে ভুক্তভোগী নগদ ৫ হাজার টাকা দিলে সাব ইন্সপেক্টর নূরে আলম আরো ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন। বাকি ৪৫ হাজার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে নানা রকম ভয়-ভীতি প্রদানে অসহায় ভুক্তভোগী গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

কাউন্দিয়া এলাকার ইটের ভাটা মালিকদের কাছে ফাঁড়ির খরচ বাবদ বিভিন্ন ইট ভাটার ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি, সিঙ্গাসাইর ওয়াহেদ মেম্বারের গরুর খামারের সংলগ্ন ইট ভাটার ম্যানেজার মতিনের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

যখন-যেখানে দায়িত্বপালন করেছেন টাকা ছাড়া কোন সেবাই মিলেনা নূরে আলমের দরবারে। সাভার স্মৃতিসৌধ ক্যাম্পে থাকাকালীন জনৈক ব্যবসায়ীকে ধরে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে ওই ব্যবসায়িকে পরবর্তীতে মাদক মামলায় চালান দেওয়ার মতো ঘটনায় আলোচনায় আসে এই কর্মকর্তা।

কাউন্দিয়া বাজারের গরুর গোস্তের দোকান থেকে প্রতি সপ্তাহে ২ কেজি করে মাংস নিচ্ছেন ফাঁড়ির পুলিশের নামে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তোয়াক্কা না করে কাউন্দিয়া সিংগাসাইর পশ্চিমপাড়া সিসা ফ্যাক্টরি চলছে হপ্তাহ প্রদানের মাধ্যমে।

এসব বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ইনচার্জ নূরে আলমের বাংলা অ্যাফেয়ার্সকে বলেন, আমি তো বিড়াল এবং ইটভাটা চিনিই না। সুনিদিষ্ট অভিযোগ থাকলে নিউজ করেন। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবি নূরে আলমের রিবুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণে হারানো আস্থা ফিরে আসুক স্বনামধন্য পুলিশ বাহিনীর।