ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলের পতন নিয়ে সত্য হচ্ছে কোরআনের ভবিষ্যৎ

নিউজ ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট ১০:০২:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / 352

বনী ইসরায়েল, যারা হযরত ইবরাহিম (আঃ) এর বংশধর, কোরআনে উল্লেখিত অন্যতম প্রধান জাতি। তাদের সঙ্গে আল্লাহর বিশেষ সম্পর্ক ছিল, কেননা তাদের মাঝে অনেক নবী প্রেরিত হয়েছিলেন। হযরত মূসা (আঃ) তাদেরকে ফেরাউন ও তার শাসন থেকে মুক্তি দেন। কোরআনে এই ঘটনাটি বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

যদিও বনী ইসরায়েল আল্লাহর অনেক নেয়ামত পেয়েছিল, তবু তাদের মধ্যে বারবার অবাধ্যতা দেখা যায়। আল্লাহ তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সত্য পথ অনুসরণ করতে এবং তাঁর প্রেরিত নবীদের অনুসরণ করতে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বনী ইসরায়েল আল্লাহর
নির্দেশ অমান্য করতে শুরু করে এবং নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তারা বারবার নবীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, এমনকি অনেক নবীকে হত্যা পর্যন্ত করে।

এই অবাধ্য তার পরিণামস্বরূপ বনী ইসরায়েল বহুবার বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে বিভিন্নভাবে শাস্তি দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করে দেন এবং তারা বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে অনেকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং বাইবেলে উল্লেখিত ‘বাবিলনের বন্দিত্বের’ মতো বড় বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়।

কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই চক্র চলমান থাকবে। বনি ইসরায়েলের এমন পরিণতির ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আগে থেকেই বলে রেখেছেন আল্লাহতায়লা।

বনী ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অপরাধ গুলোর একটি ছিল তাদের অহংকার এবং আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা। আল্লাহ তাদেরকে বারবার ক্ষমা করেছিলেন এবং সঠিক পথে ফিরে আসার সুযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা বারবার সেই সুযোগগুলো উপেক্ষা করেছিল।

আল ইসরা সূরার আয়াত অনুযায়ী, বনী ইসরায়েল দুটি বড় বিদ্রোহ ও ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছিল। প্রথমবার তাদের অহংকার ও আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করার জন্য শাস্তি আসে যখন নবুখাদনেজার (বাবিলনের রাজা) তাদেরকে আক্রমণ করে এবং তাদের দেশ ধ্বংস করে দেয়। দ্বিতীয়বার রোমানরা তাদের দেশ আক্রমণ করে এবং যিরূশালেম মসজিদ ধ্বংস করে দেয়। কোরআন মজিদে এই ঘটনাগুলো তাদের জন্য সতর্কবাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসলামের শুরুর দিককার কোরআনের তাফসিরবিদদের মতে, কোরআনে বর্ণিত দুটি ঘটনাই ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে আধুনিক মুফাসসিরদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় ঘটনা এখনও সংঘটিত হয়নি।

ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, কিয়ামত সংঘটনের আগে ইমাম মাহাদির নেতৃত্বে মুসলিমরা জেরুজালেম জয় করবে। বর্তমান বিশ্বের ঘটনাবলির পরম্পরায় অনেক মুফাসসির মনে করেন, এটাই হবে বনী ইসরায়েলের ওপর দ্বিতীয় বিপর্যয়ের ঘটনা।

Tag :

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

ইসরাইলের পতন নিয়ে সত্য হচ্ছে কোরআনের ভবিষ্যৎ

সর্বশেষ আপডেট ১০:০২:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বনী ইসরায়েল, যারা হযরত ইবরাহিম (আঃ) এর বংশধর, কোরআনে উল্লেখিত অন্যতম প্রধান জাতি। তাদের সঙ্গে আল্লাহর বিশেষ সম্পর্ক ছিল, কেননা তাদের মাঝে অনেক নবী প্রেরিত হয়েছিলেন। হযরত মূসা (আঃ) তাদেরকে ফেরাউন ও তার শাসন থেকে মুক্তি দেন। কোরআনে এই ঘটনাটি বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

যদিও বনী ইসরায়েল আল্লাহর অনেক নেয়ামত পেয়েছিল, তবু তাদের মধ্যে বারবার অবাধ্যতা দেখা যায়। আল্লাহ তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সত্য পথ অনুসরণ করতে এবং তাঁর প্রেরিত নবীদের অনুসরণ করতে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বনী ইসরায়েল আল্লাহর
নির্দেশ অমান্য করতে শুরু করে এবং নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তারা বারবার নবীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, এমনকি অনেক নবীকে হত্যা পর্যন্ত করে।

এই অবাধ্য তার পরিণামস্বরূপ বনী ইসরায়েল বহুবার বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে বিভিন্নভাবে শাস্তি দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করে দেন এবং তারা বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে অনেকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং বাইবেলে উল্লেখিত ‘বাবিলনের বন্দিত্বের’ মতো বড় বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়।

কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই চক্র চলমান থাকবে। বনি ইসরায়েলের এমন পরিণতির ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আগে থেকেই বলে রেখেছেন আল্লাহতায়লা।

বনী ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অপরাধ গুলোর একটি ছিল তাদের অহংকার এবং আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা। আল্লাহ তাদেরকে বারবার ক্ষমা করেছিলেন এবং সঠিক পথে ফিরে আসার সুযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা বারবার সেই সুযোগগুলো উপেক্ষা করেছিল।

আল ইসরা সূরার আয়াত অনুযায়ী, বনী ইসরায়েল দুটি বড় বিদ্রোহ ও ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছিল। প্রথমবার তাদের অহংকার ও আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করার জন্য শাস্তি আসে যখন নবুখাদনেজার (বাবিলনের রাজা) তাদেরকে আক্রমণ করে এবং তাদের দেশ ধ্বংস করে দেয়। দ্বিতীয়বার রোমানরা তাদের দেশ আক্রমণ করে এবং যিরূশালেম মসজিদ ধ্বংস করে দেয়। কোরআন মজিদে এই ঘটনাগুলো তাদের জন্য সতর্কবাণী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসলামের শুরুর দিককার কোরআনের তাফসিরবিদদের মতে, কোরআনে বর্ণিত দুটি ঘটনাই ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে আধুনিক মুফাসসিরদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় ঘটনা এখনও সংঘটিত হয়নি।

ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, কিয়ামত সংঘটনের আগে ইমাম মাহাদির নেতৃত্বে মুসলিমরা জেরুজালেম জয় করবে। বর্তমান বিশ্বের ঘটনাবলির পরম্পরায় অনেক মুফাসসির মনে করেন, এটাই হবে বনী ইসরায়েলের ওপর দ্বিতীয় বিপর্যয়ের ঘটনা।