ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্যামলী পরিবহনে হামলার খবরটি সঠিক নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • সর্বশেষ আপডেট ০১:৪৮:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 59

শ্যামলী পরিবহন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার চান্দিয়ারা এলাকায় ত্রিপুরা থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে হামলা হয়েছে বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি সংবাদমাধ্যম। পুলিশ ও বাসচালক বলছে, শ্যামলী পরিবহনের বাসে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটি ছিল নিছক দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, শ্যামলী পরিবহনের বাসটি শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চান্দিয়ারা এলাকায় পৌঁছলে একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে যায়। এ সময় জরুরি ব্রেক করে থামানোর চেষ্টা করেন চালক। ফলে একটি ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ভ্যানচালক ইব্রাহিম সামান্য আহত হন। এ নিয়ে ভ্যানচালক ইব্রাহিম ও বাসচালক মো. আসাদুল হকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। স্থানীয়রা ইব্রাহিমকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। খবর পেয়ে খাঁটি হাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ভ্যানকে উদ্ধার করে। বাস কর্তৃপক্ষ ও ভ্যানচালকের লোকজন মীমাংসা করে এবং বাসটি ঢাকায় চলে যায়।

শ্যামলী পরিবহনে হামলা
শ্যামলী পরিবহনে হামলা

বাসচালক মো. আসাদুল হক বলেন, একটি ট্রাক ওভারটেক করতে গেলে আমি ইমার্জেন্সি ব্রেক ধরি। এ সময় বাসের পেছনে থাকা একটি ভ্যানের ধাক্কা লাগে। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়। তারা এসে ভ্যানটি সরিয়ে নেয়। দুর্ঘটনায় বাসের কোনো ক্ষতি হয়নি কিংবা যাত্রীরা আঘাতপ্রাপ্ত হননি।

তিনি আরও বলেন, বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয়দের কোনো বাক-বিতণ্ডা বা কোনোরকম ঝামেলা হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমে বাসে হামলার খবর দেখে আমিও অবাক হয়েছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, সকালে আগরতলা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের বাসটি দুপুরের দিকে চান্দিয়ারা এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় বাস কর্তৃপক্ষ ও ভ্যানচালকের লোকজন আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে। পরে বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ নিয়ে কোনো হাতাহাতি, হুমকি বা মারামারির ঘটনা ঘটেনি। এটি নিছক দুর্ঘটনা মাত্র।

তিনি আরও বলেন, একটি দুর্ঘটনাকে হামলা বলে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা আদৌ সত্য নয়। এখানে অতিরঞ্জিত করার বা সাম্প্রদায়িক গন্ধ খোঁজার কোনো সুযোগ নেই। বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর আসছে তা সত্য নয়। তারা কেন এমন করছে আমাদের বোধগম্য নয়।

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

শ্যামলী পরিবহনে হামলার খবরটি সঠিক নয়

সর্বশেষ আপডেট ০১:৪৮:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার চান্দিয়ারা এলাকায় ত্রিপুরা থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে হামলা হয়েছে বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি সংবাদমাধ্যম। পুলিশ ও বাসচালক বলছে, শ্যামলী পরিবহনের বাসে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটি ছিল নিছক দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, শ্যামলী পরিবহনের বাসটি শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চান্দিয়ারা এলাকায় পৌঁছলে একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে যায়। এ সময় জরুরি ব্রেক করে থামানোর চেষ্টা করেন চালক। ফলে একটি ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ভ্যানচালক ইব্রাহিম সামান্য আহত হন। এ নিয়ে ভ্যানচালক ইব্রাহিম ও বাসচালক মো. আসাদুল হকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। স্থানীয়রা ইব্রাহিমকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। খবর পেয়ে খাঁটি হাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ভ্যানকে উদ্ধার করে। বাস কর্তৃপক্ষ ও ভ্যানচালকের লোকজন মীমাংসা করে এবং বাসটি ঢাকায় চলে যায়।

শ্যামলী পরিবহনে হামলা
শ্যামলী পরিবহনে হামলা

বাসচালক মো. আসাদুল হক বলেন, একটি ট্রাক ওভারটেক করতে গেলে আমি ইমার্জেন্সি ব্রেক ধরি। এ সময় বাসের পেছনে থাকা একটি ভ্যানের ধাক্কা লাগে। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়। তারা এসে ভ্যানটি সরিয়ে নেয়। দুর্ঘটনায় বাসের কোনো ক্ষতি হয়নি কিংবা যাত্রীরা আঘাতপ্রাপ্ত হননি।

তিনি আরও বলেন, বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয়দের কোনো বাক-বিতণ্ডা বা কোনোরকম ঝামেলা হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমে বাসে হামলার খবর দেখে আমিও অবাক হয়েছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, সকালে আগরতলা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের বাসটি দুপুরের দিকে চান্দিয়ারা এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় বাস কর্তৃপক্ষ ও ভ্যানচালকের লোকজন আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে। পরে বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ নিয়ে কোনো হাতাহাতি, হুমকি বা মারামারির ঘটনা ঘটেনি। এটি নিছক দুর্ঘটনা মাত্র।

তিনি আরও বলেন, একটি দুর্ঘটনাকে হামলা বলে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা আদৌ সত্য নয়। এখানে অতিরঞ্জিত করার বা সাম্প্রদায়িক গন্ধ খোঁজার কোনো সুযোগ নেই। বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর আসছে তা সত্য নয়। তারা কেন এমন করছে আমাদের বোধগম্য নয়।