ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশীদের জন্য পর্যটন ফি কমালো ভুটান

নিউজ ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট ০৭:৪০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
  • / 306

ভুটান। ভারত ও চিনের মাঝে হিমালয়ের কোলের একটা ছোট্ট দেশ। ছবির পোস্ট কার্ডের মতো ছিমছাম এই দেশটি পৃথিবীর সুখী দেশগুলোর একটি।দেশটি ভারতীয় উপমহাদেশে হিমালয় পর্বতমালার পূর্বাংশে অবস্থিত। ভুটান উত্তরে চীনের তিব্বত অঞ্চল, পশ্চিমে ভারতের সিকিম ও তিব্বতের চুম্বি উপত্যকা, পূর্বে অরুণাচল প্রদেশ এবং দক্ষিণে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ দ্বারা পরিবেষ্টিত।

কৃষি, বনজ সম্পদ, পর্যটন ও ভারতে জলবিদ্যুৎ বিক্রির উপর দেশটির অর্থনীতি দাঁড়িয়ে। পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল দেশটির সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য। সারা বিশ্ব যখন করোনায় নাকাল, ঠিক তখনই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখে নজির গড়েছিল দেশটি। এ জন্য নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কড়াকড়ি আরোপ করে, পাশাপাশি বিদেশিদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশটির দরজা।

করোনার প্রকোপ কমে এলে সেই কড়াকড়ি শিথিল করে তুলে নেওয়া হয় ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও পর্যটক ফি দৈনিক ৬৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০০ মার্কিন ডলার করা হয়। কিন্তু করোনার আগে বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের পর্যটকদের এই ফি দিতে হতো না। দেশটির পক্ষ থেকে কারণ হিসেবে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন ফি হিসেবে নেওয়া এই অর্থ পর্যটকদের মাধ্যমে উৎপাদিত অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ কমাতে ব্যবহৃত হবে।

তবে ভুটান সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর অনান্য দেশের মতো বাংলাদেশি পর্যটকের হার কমে যায় দেশটিতে। ২০১৯ সালে যেখানে ১৩ হাজার ১৬ জন বাংলাদেশি পর্যটক ভুটান ভ্রমণ করেন, সেখানে ২০২২ সালে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর শেষ তিন মাসে মাত্র চারজন বাংলাদেশি ভুটান ভ্রমণ করেন।

বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরে ভুটান সরকার। এমন পরিস্থিতিতে গত এপ্রিলে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার তৃতীয় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ঢাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্যও ফি কমাতে থিম্পুকে অনুরোধ করা হয়। তখনই বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেয় ভুটান।

এবার বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্যও ফি কমিয়ে ১৫ ডলার করা হলো। তবে নতুন নীতিমালার আওতায় বছরে ১৫ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক প্রতিদিন ১৫ মার্কিন ডলার ফি দিয়ে ভুটান ভ্রমণ করতে পারবেন। এর বেশি পর্যটক হলে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মতো ১০০ ডলার ফি দিতে হবে। এই ভ্রমণ নীতিমালা ২ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে।

Tag :

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

বাংলাদেশীদের জন্য পর্যটন ফি কমালো ভুটান

সর্বশেষ আপডেট ০৭:৪০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

ভুটান। ভারত ও চিনের মাঝে হিমালয়ের কোলের একটা ছোট্ট দেশ। ছবির পোস্ট কার্ডের মতো ছিমছাম এই দেশটি পৃথিবীর সুখী দেশগুলোর একটি।দেশটি ভারতীয় উপমহাদেশে হিমালয় পর্বতমালার পূর্বাংশে অবস্থিত। ভুটান উত্তরে চীনের তিব্বত অঞ্চল, পশ্চিমে ভারতের সিকিম ও তিব্বতের চুম্বি উপত্যকা, পূর্বে অরুণাচল প্রদেশ এবং দক্ষিণে আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ দ্বারা পরিবেষ্টিত।

কৃষি, বনজ সম্পদ, পর্যটন ও ভারতে জলবিদ্যুৎ বিক্রির উপর দেশটির অর্থনীতি দাঁড়িয়ে। পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল দেশটির সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য। সারা বিশ্ব যখন করোনায় নাকাল, ঠিক তখনই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখে নজির গড়েছিল দেশটি। এ জন্য নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কড়াকড়ি আরোপ করে, পাশাপাশি বিদেশিদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশটির দরজা।

করোনার প্রকোপ কমে এলে সেই কড়াকড়ি শিথিল করে তুলে নেওয়া হয় ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও পর্যটক ফি দৈনিক ৬৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০০ মার্কিন ডলার করা হয়। কিন্তু করোনার আগে বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের পর্যটকদের এই ফি দিতে হতো না। দেশটির পক্ষ থেকে কারণ হিসেবে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন ফি হিসেবে নেওয়া এই অর্থ পর্যটকদের মাধ্যমে উৎপাদিত অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ কমাতে ব্যবহৃত হবে।

তবে ভুটান সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর অনান্য দেশের মতো বাংলাদেশি পর্যটকের হার কমে যায় দেশটিতে। ২০১৯ সালে যেখানে ১৩ হাজার ১৬ জন বাংলাদেশি পর্যটক ভুটান ভ্রমণ করেন, সেখানে ২০২২ সালে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর শেষ তিন মাসে মাত্র চারজন বাংলাদেশি ভুটান ভ্রমণ করেন।

বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরে ভুটান সরকার। এমন পরিস্থিতিতে গত এপ্রিলে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার তৃতীয় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ঢাকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্যও ফি কমাতে থিম্পুকে অনুরোধ করা হয়। তখনই বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেয় ভুটান।

এবার বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্যও ফি কমিয়ে ১৫ ডলার করা হলো। তবে নতুন নীতিমালার আওতায় বছরে ১৫ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক প্রতিদিন ১৫ মার্কিন ডলার ফি দিয়ে ভুটান ভ্রমণ করতে পারবেন। এর বেশি পর্যটক হলে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মতো ১০০ ডলার ফি দিতে হবে। এই ভ্রমণ নীতিমালা ২ জুন থেকে কার্যকর হয়েছে।