ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট ০১:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / 64

ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে আছেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।

মঙ্গলবার (০৬ মে) দুপুর ১টা ২৫ মিনিট বাসায় প্রবেশ করেছেন তারা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এর আগে প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সোমবার (৫ মে) দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পথে কাতারের রাজধানী দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করে এবং সেখানে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে জ্বালানি নেওয়া হয়। এরপর রাতেই ঢাকার উদ্দেশে আবার যাত্রা শুরু করে বিমানটি।

বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঙ্গলবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা দেন। তিনি নিজের পুরনো নিশান পেট্রোল গাড়ির সামনের সিটে বসেন। পেছনে ছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী এবং প্রয়াত কোকোর স্ত্রী।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও বাতসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন। এসব রোগের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেওয়া হয়। তার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরজুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে নেতাকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট আচরণবিধিও জারি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক মামলায় খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় কারাবন্দি রাখা হয়। সে সময় তার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়, যা নিয়ে দেশ-বিদেশে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ প্রকাশ পায়।

পরে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। আইনি লড়াইয়ে খালেদা জিয়া ধারাবাহিকভাবে সকল মামলায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে চলেছেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতের একাধিক পর্যবেক্ষণে তার বিরুদ্ধে করা মামলা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন আশাবাদ ও চেতনা ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া

সর্বশেষ আপডেট ০১:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে আছেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।

মঙ্গলবার (০৬ মে) দুপুর ১টা ২৫ মিনিট বাসায় প্রবেশ করেছেন তারা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এর আগে প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সোমবার (৫ মে) দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পথে কাতারের রাজধানী দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করে এবং সেখানে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে জ্বালানি নেওয়া হয়। এরপর রাতেই ঢাকার উদ্দেশে আবার যাত্রা শুরু করে বিমানটি।

বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঙ্গলবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা দেন। তিনি নিজের পুরনো নিশান পেট্রোল গাড়ির সামনের সিটে বসেন। পেছনে ছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী এবং প্রয়াত কোকোর স্ত্রী।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও বাতসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন। এসব রোগের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেওয়া হয়। তার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরজুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে নেতাকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট আচরণবিধিও জারি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক মামলায় খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় কারাবন্দি রাখা হয়। সে সময় তার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়, যা নিয়ে দেশ-বিদেশে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ প্রকাশ পায়।

পরে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। আইনি লড়াইয়ে খালেদা জিয়া ধারাবাহিকভাবে সকল মামলায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে চলেছেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতের একাধিক পর্যবেক্ষণে তার বিরুদ্ধে করা মামলা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন আশাবাদ ও চেতনা ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।